(বাঁ দিকে) সঞ্জয় লীলা ভন্সালী, (ডান দিকে) রিচা চড্ডা। ছবি: সংগৃহীত।
‘হীরামান্ডি’র হাত ধরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জগতে অভিষেক ঘটল সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর। ১ মে মুক্তি পেয়েছে সিরিজ় ‘হীরামান্ডি’। সিরিজ়ের প্রথম টিজ়ারে রাজকীয় বেশে ধরা দিয়েছেন মায়ানগরীর ছয় রূপসী। সোনালি রঙা পোশাক ও সোনালি গয়নায় উজ্জ্বল তাঁরা।
এমনিতেই সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ছবি মানেই পেল্লাই সেট। ঝাড় লণ্ঠন থেকে দুর্দান্ত সব পোশাক, তেমনই তাক লাগানো গয়না। সে ‘দেবদাস’ হোক কিংবা ‘বাজিরাও মস্তানি’ কিংবা ‘পদ্মাবত’, সঞ্জয় তাঁর ছবির নায়িকাদের ঝুটো নকল গয়না, নয় আসল গয়নাতেই হাজির করেন।
‘হীরামান্ডি’র ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়ননি। এই সিরিজ়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছে রিচা চড্ডাকে। লাজোর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সেখানেই মুঘল ঘরানার নকশা করা নানা গয়নায় সাজতে দেখা গিয়েছে রিচাকে। সেই সব গয়না ছিল আসল, তাঁর বাজার দর কেমন, জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।
পরাধীন ভারতে তিন প্রজন্মের গণিকাদের জীবনযাপনের কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘হীরামান্ডি’র চিত্রনাট্য। এই সিরিজ়টি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। প্রথম কোনও ভারতীয় সিরিজ়ের নির্মাণে এমন বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন ছয় নারী। মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিন্হা, অদিতি রাও হায়দরি, রিচা চড্ডা, সনজিদা শেখ, শর্মিন সেহগল।
এ ছাড়াও রয়েছেন ফারদিন খান ও অধ্যয়ন সুমন। এখনও পর্যন্ত দর্শক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে সিরিজ়টি নিয়ে। তবে প্রথম ওয়েব সিরিজ়ে কার্পণ্য করেননি পরিচালক।শ্রীপরামাণি নামে গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা দিল্লির শোরুমে মনীষা-সোনাক্ষী, রিচা-অদিতিদের লুক সেট করেছেন বনশালি। ছবির জন্য গয়না দায়িত্বে ছিলেন তাঁরাই। প্রায় ৩০০ কেজি গয়না ব্যবহার করা হয় ছবিতে। এক সাক্ষাৎকারে রিচা বলেছেন, ‘‘আমি এই সিরিজ়ে যে গয়নাগুলি পরেছিলাম সব ক’টাই আসল গয়না। এগুলির দাম কোটি টাকার উপর। সব ক’টা নিয়ে পালিয়ে গেলে নিজে একটা ছবি বানিয়ে নিতে পারব।’’
আটটি এপিসোডে বিভক্ত এই সিরিজ়। পরিচালক জানিয়েছেন, প্রায় ১৪ বছর ধরে বিষয়টা নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন।