দু'জন দু'রকম বলেই তাঁদের মধ্যে প্রেম এত গাঢ়, মনে করেন লারা
এক জন অভিনেত্রী। অন্য জন টেনিস তারকা। এমন পেশাদার বৈপরীত্য নিয়ে গাঁটছড়া অনেকেই বাঁধেন, তবে নিজেদের সবটুকু আলাদা হলে কেমন হয় দাম্পত্য? মহেশ ভূপতির সঙ্গে বিয়ের ১১ বছর পার করে সেই অভিজ্ঞতার কথাই ভাগ করে নিলেন ‘সিং ইজ ব্লিং’-এর অভিনেত্রী লারা দত্ত।বিপরীত মেরু যে পরস্পরকে বেশি আকর্ষণ করে, তার আদর্শ উদাহরণ লারা-মহেশের দাম্পত্য। যুগলের দু’জন একেবারে দু’রকম বলেই নাকি তাঁদের মধ্যে প্রেম এত গাঢ়—মনে করেন লারা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তিনি নিজে অসম্ভব খুঁতখুঁতে। সব কিছু জায়গা মতো না থাকলে তাঁর ভাল লাগে না। পরিপাটি করে তাই জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখেন তিনি। আর মহেশ? তাঁর ঘর সব সময়ে তছনছ। গুছিয়ে জীবন কাটানোর ধারই নাকি ধারেন না তিনি। কোথাও যাওয়ার আগে স্যুটকেসে যখন থাকে থাকে জামাকাপড় গোছান লারা, ভূপতি নাকি সব ছুড়ে ছুড়ে ফেলেন।
লারার কথায়, ‘‘আমার স্যুটকেস খুললে স্তরে স্তরে জিনিসপত্র পাওয়া যাবে। ভাঁজ খুলে সেগুলো ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু মহেশের অত ধৈর্য নেই। নতুন শহরে গিয়ে কিংবা বাড়ি ফিরে স্যুটকেস খুলে আগে জিনিসপত্র ঘেঁটে ফেলে ও। কিছু খুঁজতে গিয়ে লন্ডভন্ড করে ফেলে সব।’’
১৯৯৭ সালে প্রথম ভারতীয় টেনিস প্লেয়ার হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন ভূপতি। তাঁর জীবনে লারা আসেন বেশ কিছুটা পরে। ২০১১-এর ফেব্রুয়ারি মাসে মহেশ-লারার বিয়ে হয়। তার পর থেকে দীর্ঘ ১১ বছর সুখের দাম্পত্যে মশগুল রয়েছেন দু’জনে। কন্যা সায়রার বয়সও ১০ বছর পার হতে চলল।
কিন্তু গুছিয়ে নিতে কি শিখলেন মহেশ? লারার কথায়, ‘‘এত দিনে একটু হলেও ও শুধরেছে মনে হয়।" তবে মহেশ-ঘরনি জানান, তিনি এবং তাঁর স্বামী সব দিক দিয়েই একেবারে আলাদা। সেই তফাতই পরস্পরকে একে অন্যের দিকে টেনেছে। আজও পরস্পরকে জানার যেন শেষ নেই দু’জনেরই।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।