গত ৬ ডিসেম্বর কলকাতার বুকে সন্ধ্যা নামতেই বিয়ের বাজনা বেজে উঠেছিল সৃজিতের দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাটে। বাংলাদেশি অভিনেত্রী, সমাজকর্মী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে গাটছড়া বেঁধেছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
লাল জহরকোট এবং কালো পাঞ্জাবিতে সেজেছিলেন সৃজিত। আর মিথিলা পরনে ছিল লাল রঙের জামদানি শাড়ি। সাজ বিশেষ নয়। কপালে ছোট্ট টিপ। কানে-গলায় মানানসই গয়না।
পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে আইনি সইসাবুদের কাজটা ওই গত ৬ ডিসেম্বরই সেরে ফেলেছিলেন তাঁরা। আজ ভূরিভোজের পালা।
২৯ ফেব্রুয়ারি সৃজিত-মিথিলার রিসেপশনের অনুষ্ঠান হল স্বভূমিতে।
এ দিন সৃজিত-মিথিলার পোশাকের দায়িত্বভার পড়েছিল ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের উপর।
মিথিলার পরনে লাল রঙের শাড়ি। আর তার সঙ্গে মানানসই করে সৃজিত পরেছেন আচকান আর ধুতি। জামায় ঘন সুতোর কাজ।
রীতিমতো চাঁদের হাট বসেছে তাঁদের রিসেপশনের অনুষ্ঠানে। সৌরসেনী মৈত্র, গার্গী রায়চৌধুরী, অর্জুন চক্রবর্তী থেকে মাধবী মুখোপাধ্যায়-কে নেই সেই অনুষ্ঠানে।
মিথিলায় বাড়ি বাংলাদেশ। মিথিলার বাপের বাড়ির তরফ থেকেও হাজির ছিলেন লোকজন। অতিথিদের তালিকায় রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
এ দিন রাহুল-সন্দীপ্তাকে একসঙ্গে পার্টিতে আসতে দেখা যায়। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা পার্টিতে আসেন তথাগতের সঙ্গে।
অনুষ্ঠানে হাজির মিমি চক্রবর্তীও।
খাবারেরও এলাহি আয়োজন। কী নেই সেখানে? ডাল মাখানি, পনির মাখানি, চিংড়ি মালাইকারি, ঠাকুরবাড়ির কষা মাংস- সহ আরও অনেক কিছু। সঙ্গে মিষ্টি দই, নলেন গুড়ের কাঁচাগোল্লা।
মিথিলা-সৃজিতের আলাপ বেশ কয়েক বছরের। বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু। ধীরে ধীরে গাঢ় হয়েছে প্রেম। বেশ কিছু মাস ধরেই তাঁদের বিয়ে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
বিয়ের পরদিনই মিয়াঁ-বিবি মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুদূর সুইৎজারল্যান্ডে।