কমেডি নাইটস এবং দ্য কপিল শর্মা শো-র পর আলাদা করে তাঁর আর পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ-এর প্রতিযোগী হয়ে কেরিয়ার শুরু করা কপিল এখন অন্যতম সর্বাধিক পারিশ্রমিক নেওয়া টেলিভিশন অভিনেতা। তাঁর শো-র মাধ্যমে নিজের স্বতন্ত্র একটি পরিচয় গড়ে তুলেছেন তিনি।
যে কোনও ফিল্ম মুক্তি পাওয়ার আগে তাঁর শো-এ প্রোমোশনের জন্য আসতেই হয় অভিনেতাদের। এমনকি খেলার দুনিয়ার অনেক তারকাও তাঁর শো-র আমন্ত্রণের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।
জনপ্রিয়তায় কোনও বলি সুপারস্টারের থেকে কম নন তিনি। আবার বিলাসিতায় তাঁর ভ্যানিটি ভ্যানও হার মানিয়ে দেবে বড় বড় সুপারস্টারদের।
তাঁর কাস্টমাইজড ভ্যানিটি ভ্যানের অন্দরমহল দেখে যে কেউ পাঁচতারা হোটেল ভেবে বসতে পারেন।
তাঁর লাক্সারি ভ্যানিটি ভ্যান তৈরি করতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম দামি ভ্যানিটি ভ্যান এটি।
ভ্যানটি ডিজাইন করেছেন দিলীপ ছাবারিয়া। বলিউডের প্রথম সারির বহু সুপারস্টারের ভ্যানিটি ভ্যানও তাঁরই তৈরি।
শাহরুখের ভ্যানিটি ভ্যান যেমন দিলীপই ডিজাইন করেছিলেন। খরচ পড়েছিল ৪ কোটি টাকা। তার থেকেও দামি ভ্যানিটি ভ্যান রয়েছে কপিলের কাছে।
তাঁর ভ্যানিটি ভ্যানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, বড় টেলিভিশন রয়েছে। মেঝেয় এলইডি আলো লাগানো রয়েছে।
আলাদা করে দরজায় চাবি লাগানোর প্রয়োজন নেই। অটোমেটিক ডোর লক সিস্টেম রয়েছে এতে।
শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ক্লান্ত শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির আরামকেদারাও। এতে রয়েছে একটি লবিও।
ভিতরে আলাদা করে একটি কেবিন রয়েছে। সেখানে টেবিল-সোফা এবং এলইডি টিভি লাগানো রয়েছে।
কেবিনে উন্নত প্রযুক্তির অডিয়ো সিস্টেমের ব্যবস্থা রয়েছে। ভ্যানে যে সমস্ত আলো লাগানো রয়েছে তার সবটাই রিমোট বা ব্লুটুথের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ভ্যানের বাইরের ডিজাইনও অত্যন্ত আধুনিক। রূপালি রঙের ভ্যানের সঙ্গে কালো কাচ তার লুকটাই বদলে দিয়েছে।