একজনকে নিয়ে দুই মহিলার টানাটানি, এলিমিনেশন ছক, বিগ বসের ঘর মাতিয়ে রাখল দর্শকদের

২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে বিগ বস ১৩। আর প্রথম দিন থেকেই জমজমাট এই মেগা রিয়েলিটি শো। সারা ক্ষণ কারও না কারও সঙ্গে বাকবিতণ্ডা লেগেই রয়েছে। সম্প্রতি পঞ্চম এপিসোড সম্প্রচারিত হয়েছে। সেখানে কী ঘটেছে দেখে নিন

কোয়েনা মিত্রের প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড নাকি ভীষণ পজেসিভ ছিলেন। নিজের অধিকার প্রচণ্ড ভাবে খাটাতেন তাঁর উপর। এতটাই পজেসিভ ছিলেন যে, একবার নাকি কোয়েনা মিত্রকে তাঁর বাড়িতেই বাথরুমে আটকে রেখে চলে গিয়েছিলেন।

কোয়েনা জানিয়েছেন, তাঁর বয়ফ্রেন্ড তুরস্কের লোক ছিলেন। কোয়েনা উপার্জন করবেন, তিনি একেবারেই মেনে নিতে পারতেন না। সে কারণেই এই ব্যবহার।

লেখক, সিনেমাটোগ্রাফার সিদ্ধার্থ দে-র সঙ্গে তুমুল বিবাদ হয়েছে রেশমি দেশাই এবং দেবলীনা ভট্টাচার্যের সঙ্গে। বিবাদ এই পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিদ্ধার্থ বলেন, ‘‘আমি তো এখানে থাকতেই চাই না। এখানে আসার আগে পরিচারিকাকে বলে এসেছি সাত দিন পর আসতে।’’

এর কিছু পরে ডাইনিং টেবিলে ফের বিবাদে জড়িয়ে পড়েন সিদ্ধার্থ দে। এ বার তাঁর বাকবিতণ্ডা শুরু হয় কোয়েনা মিত্রের সঙ্গে।

খাবার খেয়ে যে যাঁর ঘরে চলে যাওয়ার পর আবু মালিক তাঁর কাছে আসেন। তিনি সিদ্ধার্থকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, যে মহিলাদের সঙ্গে এ ভাবে চিৎকার করা উচিত নয়। পুরুষদের সেটা শোভা পায় না।

শুধু কি সিদ্ধার্থ একা মাতিয়ে রাখবেন বিগ বস ১৩-এর সেট! সিদ্ধার্থ শান্ত হওয়ার কিছু পর শেহনাজ গিল এবং মাহিরা শর্মার মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। তাঁদের ঝগড়া অভিনেতা পরশ ছবরাকে নিয়ে।

তাঁদের দু’জনের মধ্যে পরশ কার বেশি কাছের, সেটা নিয়েই দুই তরুণী লড়ে গেলেন, আর দূরে দাঁড়িয়ে সেটা উপভোগ করলেন পরশ। পরে পরশ ঘোষণা করেন, তিনি সময়মতো এবং প্রয়োজন হলে তাঁদের মধ্যে কাউকে বেছে নেবেন। তার পরই দুই তরুণীর ঝগড়া থামে।

বিগ বস সমস্ত মহিলা প্রতিযোগীদের কালো ব্যান্ড অপছন্দের ছেলেদের দিতে বলেছিল। মাহিরা এবং দিলনাজ কালো ব্যান্ড পরিয়েছেন আবুকে। যেখানে রেশমি, শেহনাজ এবং দেবলীনার থেকে কালো ব্যান্ড পান অসীম। সিদ্ধার্থ দে-কে কালো ব্যান্ড পরান কোয়েনা এবং সিদ্ধার্থ শুক্লকে কালো ব্যান্ড পরিয়েছেন শেফালি।

বিগ বস হাউস থেকে এই সপ্তাহে বার হওয়ার জন্য কোন প্রতিযোগী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন? এই নিয়েই এখন প্রতিযোগীদের মধ্যে আলোচনা চলছে। প্রত্যেকেই ছক সাজাতে ব্যস্ত। এর মধ্যে পরশ ঘুরপথে শেফালিকে বুঝিয়ে দেন তিনি যেন দেবলীনাকে নমিনেট না করেন। তাহলে তাঁকেই সবাই দোষারোপ করবেন।