অভিনেতা মাইকেল গ্যামবন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়াত ‘হ্যারি পটার’ খ্যাত আইরিশ-ব্রিটিশ অভিনেতা মাইকেল গ্যামবন। ৮২ বছর বয়সে প্রয়াণ বর্ষীয়ান অভিনেতার। প্রায় পাঁচ দশকের বিস্তৃত অভিনয় জীবনে একাধিক স্মরণীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাইকেল। তবে তাঁকে বিশ্বজনীন জনপ্রিয় এনে দিয়েছিল ‘হ্যারি পটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির ছবিতে ‘ডাম্বলডোর’ চরিত্রে তাঁর অভিনয়। বার্ধক্যজনিত কারণ ও নিউমোনিয়ার জেরে জীবনাবসান হল অভিনেতা।
থিয়েটারের মঞ্চ থেকে অভিনয় জীবনের সূত্রপাত মাইকেলের। থিয়েটার, টেলিভিশন ও ফিল্ম— অভিনেতা হিসাবে তিন মাধ্যমেই সাবলীল ও সমান পারদর্শী ছিলেন তিনি। শেক্সপিয়রের না়টক থেকে শুরু করে জেকে রাউলিং-এর চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন তিনি। অভিনয় করেছিলেন ইংল্যান্ডের দুই রাজার চরিত্রেও। ‘দ্য লস্ট প্রিন্স’-এ রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড, ‘দ্য কিংস স্পিচ’-এ রাজা পঞ্চম জর্জের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মাইকেল। শুধু তাই-ই নয়, ব্রিটেনের কিংবদন্তি প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের চরিত্রেও বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি। শুধু তাই-ই নয়, ‘লেয়ার কেক’, ‘দ্য ইনসাইডার’-এর মতো ছবিতে খলচরিত্রে অভিনয় করে নিজের বহুমুখী অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন মাইকেল। ১৯৯৯ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ তাঁকে নাইটহুড সম্মানে সম্মানিত করেন। তার পর থেকে স্যর মাইকেল গ্যামবন নামে পরিচিত হন তিনি।
২০০৪ সালে ‘হ্যারি পটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়িতে যোগ দেন মাইকেল। এর আগে ‘হ্যারি পটার’ সিরিজ়ের প্রথম দু’টি ছবিতে হগওয়ার্টসের হেডমাস্টার ডাম্বলডোরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিস রিচার্ড হ্যারিসকে। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর সিরিজ়ের তৃতীয় ছবি থেকে ডাম্বলডোরের চরিত্রে অভিনয় করা শুরু করেন মাইকেল। ‘হ্যারি পটার’ সিরিজ়ের শেষ ছবি পর্যন্ত তাঁকেই ডাম্বলডোর হিসাবে চিনেছিলেন দর্শক ও অনুরাগীরা। শেষ জীবনে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন জাদুর দুনিয়ার প্রিয় প্রধান শিক্ষক। তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়, হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শেষ সময়ে তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী ও পুত্র।