ডেম ম্যাগি স্মিথ। ছবি: সংগৃহীত।
‘হ্যারি পটার’-এর অনুরাগীদের জন্য দুঃসংবাদ। প্রয়াত হলেন ‘হ্যারি পটার’-এর প্রফেসর ‘মিনার্ভা ম্যাকগোনাগল’ তথা ডেম ম্যাগি স্মিথ। শুক্রবার লন্ডনের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ম্যাগির পুত্র ক্রিস লারকিন ও টবি স্টিফেনস অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনেন। পরিবারের তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে লেখা হয়েছে, “তিনি দুই ছেলে ও পাঁচ নাতি—নাতনিকে রেখে প্রয়াত হয়েছেন। ম্যাগির মতো অসাধারণ মা ও দিদাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন দুই ছেলে ও নাতি-নাতনিরা।”
শুধু ‘হ্যারি পটার’ই নয়। ১৯৬৯ সালে ‘দ্য প্রাইম অফ মিস জঁ বর্দি’ ছবির জন্য অস্কার জেতেন ম্যাগি। ১৯৭৮ সালে অস্কারজয়ী ছবি ‘ক্যালিফোর্নিয়া সুট’-এরও অংশ ছিলেন তিনি। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবি, ‘দ্য বেস্ট এক্সটিক ম্যারিগোল্ড হোটেল’, ‘কোয়ার্টেট’, ‘ওথেলো’, ‘ট্রাভেলস উইথ মাই আন্ট’, ‘রুম উইথ আ ভিউ’, ‘গোসফোর্ড পার্ক’। টিভি সিরিজ় ‘ডাউনটন অ্যাবি’-তেও অভিনয় করেছিলেন ম্যাগি।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন চলচ্চিত্র জগৎ। মন খারাপ পটারপ্রেমীদের। অনেকেই সমাজমাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছেন। ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হয়েছিলেন ‘হ্যারি পটার’ সিরিজ়ের আর এক বর্ষীয়ান অভিনেতা, ‘হগওয়ার্টস’-এর প্রধান শিক্ষক ‘ডাম্বলডোর’ অর্থাৎ মাইকেল গ্যাম্বন। ২০২২ সালে প্রয়াত হন প্রফেসর ‘হ্যাগরিড’-এর চরিত্রাভিনেতা রবি কোলট্রেন। একের পরে এক অভিভাবক হারিয়ে চলেছে ‘হ্যারি পটার’।
জেকে রাউলিং সৃষ্ট হ্যারি পটার চরিত্রটির অভিযান নিয়ে একাধিক উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। সেই কাহিনি অবলম্বনেই হলিউডে তৈরি হয়েছে একাধিক ছবি। ২০০১ সালে মুক্তি পেয়েছিল প্রথম ছবি ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য সরসরার্স স্টোন’। সিরিজ়ের শেষ ছবি ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ়’ মুক্তি পায় ২০১১ সালে।