সঞ্জয় দত্ত।
২৯ জুলাই। ৬২-তে পা দিলেন অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। পেশাগত জীবনের ওঠানামা, নেশাগ্রস্ত জীবন, ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিষ্ফোরণ কাণ্ডে হাজতবাস— ছবির থেকেও বেশি বর্ণময় সুনীল দত্তের পুত্রের জীবন। ২০১৬ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু তার আগে কারাবাসের কথা সন্তানদের জানাতে পারেননি অভিনেতা। সঞ্জয় বলেছিলেন, তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য পাহাড়ে শ্যুটিংয়ের জন্য বাড়ির বাইরে ছিলেন। অতীতে মুম্বইয়ের সংবাদ মাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেছিলেন, “আমার সৌভাগ্য যে আমি যখন জেলে গিয়েছিলাম, তখন আমার ছেলে এবং মেয়ের বয়স মাত্র ২ বছর ছিল। তাই ওদের সেই সময়টা ভাল করে মনে নেই। আমি আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম ওদের জেলে না আনতে। আমি চাইনি ওরা আমাকে কয়েদির পোশাকে দেখুক।”
বড় হওয়ার পর সন্তানদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল সঞ্জয়কে। তারা জানতে চেয়েছিল দীর্ঘ সময় তিনি কেন অনুপস্থিত ছিলেন। সঞ্জয় বলেছিলেন, “আমি ওদের বলেছিলাম আমি পাহাড়ে শ্যুট করছিলাম। ওখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।” অভিনেতা জানিয়েছিলেন , জেল থেকে মাসে দু’বার বাড়িতে ফোন করার সুযোগ পেতেন তিনি। তখনই কথা হতো সন্তানদের সঙ্গে।
ছেলেমেয়ে বড় হলে তাদের সত্যটা জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সঞ্জয়। আপাতত কাজ নিয়ে ব্যস্ত অভিনেতা। ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’ ছবিতে দেখা যাবে অভিনেতাকে। সঞ্জয়ের জন্মদিনেই মুক্তি পেয়েছে অভিনেতার নতুন অবতারের ছবি।