হঠাৎ যেন বড় বড় লাগছে হংসিকাকে? শৈশব থেকে লাফ দিয়ে যৌবনে পৌঁছে যাওয়ার নেপথ্যে কী কারণ? ছবি: সংগৃহীত।
‘শাকা লাকা বুম বুম’ থেকে শুরু করে হৃতিক রোশনের সঙ্গে ‘কই মিল গ্যায়া’তে অভিনয়— ছোট থেকেই জনপ্রিয় হয়েছিলেন হংসিকা মতওয়ানি। ২০০৭ সালে যখন হিমেশ রেশমিয়ার ‘আপ কা সুরুর’ ছবিতে প্রধান নারী চরিত্রে আত্মপ্রকাশ করলেন তিনি, তখনই বাতাস চঞ্চল হয়ে উঠেছিল সেই খবরে।
তারকাদের নিয়ে এমনিতেই নানা ধরনের গল্পগাছা শোনা যায়। অভিনেত্রী হংসিকাকে নিয়েও রটেছিল এক গুজব। হঠাৎ যেন বড় বড় লাগছে হংসিকাকে? শৈশব থেকে লাফ দিয়ে যৌবনে পৌঁছে যাওয়ার নেপথ্যে কী কারণ, বুঝতে চাইছিলেন সকলেই।
কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, এর জন্য দায়ী নাকি হংসিকার মা। কন্যাকে দ্রুত ‘পূর্ণযৌবনা’ করে তুলতে মা নাকি হরমোনাল ইঞ্জেকশন দিতেন। সে খবর ছড়িয়ে পড়ায় নিন্দকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল হংসিকাকে।
কিন্তু সত্যটা কী? দীর্ঘ দিন পরে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। রিয়্যালিটি শো ‘হংসিকা’স লভ শাদি ড্রামা’-র সাম্প্রতিক পর্বে দেখা গেল, হংসিকা সান্ত্বনা দিচ্ছেন তাঁর মাকে। অভিনেত্রী যে দিন সোহেল খাটুরিয়াকে বিয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন, তার পর থেকেই এই গুজব আরও বেশি করে ছড়িয়েছে।
মাকে হংসিকা বলেন, “এ ভাবেই খ্যাতনামী হওয়ার মূল্য চোকাতে হয়। তুমি জানো ২১ বছর বয়সে আমায় নিয়ে এই সব বাজে কথা লেখা হয়েছে। আমি যদি সেই বয়সে এটা সহ্য করতে পারি, এখন তুমিও পারবে।”
জবাবে অভিনেত্রীর মা বলেন, “এ কথা সত্যি হলে আমি টাটা, বিড়লা বা আরও কিছু কোটিপতির চেয়েও ধনী হতাম। আমি, মাঝেমধ্যে ভাবতাম, যারা এ সব লিখেছে, বুদ্ধি বলে কি কিছু নেই তাদের? পঞ্জাবি মেয়েরা বারো থেকে ষোলো বছরের মধ্যে খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে, এ কথা তো সবাই জানে।”
হংসিকা গত বছর ডিসেম্বরেই সোহেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। তার পরও বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। সোহেল নাকি আগে হংসিকারই বন্ধু রিঙ্কিকে বিয়ে করেছিলেন। সেই বিয়েতে হংসিকাও উপস্থিত ছিলেন বলে দেখা যায় পুরনো ভিডিয়োতে। এর পর কথা ওঠে, ‘বান্ধবীর বরকে ছিনিয়ে নিয়েছেন হংসিকা’!