Lalita Lajmi

প্রয়াত গুরু দত্তের বোন ললিতা লাজমী, ‘তারে জ়মিন পর’ খ্যাত শিল্পীর জন্ম কলকাতাতেই

তাঁর তুলির টানে জীবন্ত হয়ে উঠত ক্যানভাস। ৯০ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন শিল্পী ললিতা লাজমী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:২২
Share:

প্রয়াত বিশিষ্ট চিত্রকর ললিতা লাজমী। ফাইল চিত্র।

প্রয়াত ললিতা লাজমী। ১৩ ফেব্রুয়ারি জীবনাবসান হয় বিশিষ্ট চিত্রকরের। বলিউডের পঞ্চাশের দশকের অন্যতম খ্যাতনামা ও কিংবদন্তি পরিচালক গুরু দত্তের বোন ছিলেন তিনি। বলিউড অভিনেতা আমির খানের ‘তারে জ়মিন পর’ ছবিতে তাঁর গুরুর ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল ললিতা লাজমীকে। সেখানেও অতিথি শিল্পী হিসাবে এক চিত্রকরের চরিত্রেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

Advertisement

২০০৭ সালে আমির খানের ‘তারে জ়মিন পর’ ছবিতে দেখা যায় ললিতা লাজমীকে। ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ললিতা লাজমী। সমাজমাধ্যমে সেই খবর জানানো হয় জাহাঙ্গির নিকোলসন আর্ট ফাউন্ডেশনের তরফে। মৃত্যুকালে ৯০ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। খবর, বার্ধক্যজনিত কারণেই প্রয়াত চিত্রকর।

১৯৩২ সালে পরাধীন ভারতে জন্ম ললিতা লাজমীর। জন্মস্থান, কলকাতা। কিংবদন্তি পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা ও লেখক গুরু দত্তের বোন ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই শিল্পের প্রতি এক অদ্ভুত টান অনুভব করতেন ললিতা। শাস্ত্রীয় নৃত্যের প্রতি বরাবর কৌতূহল ছিল তাঁর। মধ্যবিত্ত বাঙালি বাড়ির সন্তান হওয়ায় তথাকথিত তালিম পাননি। নিজের উৎসাহ থেকেই হাতে তুলে নিয়েছিলেন রং-তুলি। শিল্পীজীবনের পথচলার সূত্রপাত সেখান থেকেই। জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গমকে সুচারু ভাবে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ললিতা লাজমী। তাঁর আঁকা ‘ডান্স অফ লাইফ অ্যান্ড ডেথ’ প্রশংসিত হয়েছিল শিল্পীমহলে। দেশে ও বিদেশে একাধিক প্রদর্শনীতেও জায়গা করে নিয়েছিল সেই ক্যানভাসচিত্র। দাদা গুরু দত্ত তো বটেই, ললিতা লাজমীর শিল্পের দ্বারা পরবর্তী কালে প্রভাবিত হয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়, রাজ কপূরের মতো দেশের তাবড় পরিচালকরা।

Advertisement

২০০৭ সালে আমির খানের ‘তারে জ়মিন পর’ ছবিতে একটি ক্যামিয়ো চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় ললিতা লাজমীকে। ছবিতে আমির খানের চরিত্রের নাম ছিল রাম শঙ্কর নিকুম্ভ। সেই নিকুম্ভ স্যরের গুরুর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ললিতা লাজমীকে।

(এই প্রতিবেদনে প্রথমে ‘তারে জ়মিন পর’ ছবির পরিচালক অমল পলেকর লেখা হয়েছিল । ছবির পরিচালক আমির খান এবং সৃজনশীল পরিচালক অমল গুপ্তে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement