শুটিংয়ে আবির, সোহিনী ও রাহুল
গল্পের প্রেক্ষাপট বদলে দর্শককে ভ্রমণের স্বাদ দিতে চান অরিন্দম শীল। তাঁর আগের ব্যোমকেশেও তিনি এমনটা করেছেন। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রক্তের দাগ’–এর পটভূমি ছিল কলকাতা। অরিন্দম সেই কাহিনি অবলম্বনে ‘ব্যোমকেশ গোত্র’ করছেন। ছবির গল্প তিনি নিয়ে গিয়েছেন মুসৌরিতে। তাঁর কথায়, ‘‘যে সময়টা আমাকে তুলে ধরতে হতো সেটা কলকাতায় এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সম্ভব ছিল না। ব্রিটিশরা সবে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ মেজাজটা তখনও আছে। কলকাতায় ওই পিরিয়ড তুলে ধরতে পারতাম না। সর্বত্র নীল-সাদা বা অন্য রকম স্ট্রাকচার চলে এসেছে। বরং মুসৌরি বা ল্যান্ডরে সময় এখনও থমকে আছে।’’
তবে মুসৌরিও যে বদলে যায়নি, তা নয়। ‘‘খুব কনজেস্টেড হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই আমরা এমন জায়গা খুঁজে বার করেছি যেখানে পিরিয়ডটা সুন্দর ধরা পড়েছে,’’ বলছিলেন পরিচালক।
চরিত্রদেরও অন্য রকম লুকে দেখা যাবে। শীতকালের আবহ যেহেতু, তাই ব্যোমকেশের পরনে ট্রেঞ্চকোট, সত্যবতী লম্বা ঝুলের সোয়েটারে। তবে ‘ব্যোমকেশ গোত্র’র চমক নতুন অজিত। কেমন মানাল রাহুলকে? ঋত্বিক চক্রবর্তীকে হারানোর আক্ষেপ রয়েছে? ‘‘রাহুল খুব ভাল কাজ করেছে। আর আক্ষেপ করে তো কোনও লাভ নেই,’’ বক্তব্য অরিন্দমের।
ছবির আর এক চমক, অরিন্দম নিজে এবং অঞ্জন দত্ত। যাঁরা এক সময়ে যুযুধান ছিলেন ব্যোমকেশ বক্সীকে পর্দায় নিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে। ‘‘ও সব পুরনো কথা ছেড়ে দিন। অঞ্জনদাকে ছবিতে দেখলে দর্শক চমকে যাবেন। আর উনি আমাকে ছবিতে অনেক সাহায্যও করেছেন,’’ হেসে বললেন অরিন্দম।
পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে ‘ব্যোমকেশ গোত্র’। মুখ্য চরিত্র সত্যকাম করছেন অর্জুন চক্রবর্তী। ঊষাপতির চরিত্রে রয়েছেন অঞ্জন। এ ছাড়া আবির চট্টোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার তো আছেনই। সৌরসেনী মৈত্র, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, হর্ষ ছায়া, অনিন্দিতা বসুকে দেখা যাবে ছবিতে।