‘গীতা এলএলবি’র এক বছরে আবেগপ্রবণ হিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
এক বছর পার করল ধারাবাহিক ‘গীতা এলএলবি’। আজকাল নাকি তিন মাসের মাথাতেই বন্ধ হয় অধিকাংশ ধারাবাহিক। সেই ধারার বাইরে গিয়েই নতুন পালক জুড়ল ‘গীতা এলএলবি’র মুকুটে। বুধবার এক বছরের জন্মদিন উপলক্ষে দাসানি ২ স্টুডিয়োতে জড়ো হয়েছিলেন ধারাবাহিকের অভিনেতারা। কেক কাটার পর্ব চলাকালীনই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ধারাবাহিকের নায়িকা হিয়া মুখোপাধ্যায়।
অশ্রুবিহ্বল হিয়ার কথায়, “আমার কোনও অবদান নেই। আমি নিজে থেকে কিছু করি না। আমাকে পরিচালক যেমন বলে দেন, আমি ঠিক ততটাই করি। সকালে দৃশ্য সম্পর্কে জানতে পারি। সেটুকুই আমি করি। সংলাপ বলা থেকে অভিব্যক্তি, সবটাই যা বলে দেওয়া হয়। সেটুকুই করি আমি।”
তা হলে কি নিজের মতো করে চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জায়গা নেই? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে হিয়ার স্পষ্ট উত্তর, “না না, একেবারেই এমন নয়। আমাকে যে ভাবে বলে দেওয়া হয়, সেটাই সেরা। এর চেয়ে ভাল হতে পারে না।”
এর আগের ধারাবাহিক ‘নয়নতারা’-য় অন্য ধরনের এক চরিত্রে অভিনয় করতেন হিয়া। সেই জায়গায় গীতার চরিত্র অনেকটাই দাপুটে। তাই অভিনেত্রীর কথায়, “আমি স্যরের (স্নেহাশিস চক্রবর্তী) কাছে কৃতজ্ঞ। আমার মধ্যে যে গীতার মতো সাহস রয়েছে জানতামই না। আদালতের মধ্যে আমার মুখ চলে, আদালতের বাইরে হাত চলে, তা স্যরের জন্যই বুঝেছি।”
টানা এক বছর এই ধারাবাহিক চলায় খুশি হিয়া। তবে এর মেয়াদ যেন আরও বাড়ে সেই আশায় অভিনেত্রী। ধারাবাহিকের আর এক অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “প্রথম দিন থেকেই মনে হয়েছিল, এই ধারাবাহিক লম্বা রেসের ঘোড়া। তার অন্যতম কারণ, স্নেহাশিস চক্রবর্তী। প্রতিটা এপিসোডই যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।”
‘গীতা এলএলবি’-তে বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়, ভরত কল, সুপ্রিয় দত্ত, মেঘনা হালদার, কুণাল শীল। সঙ্ঘমিত্রা তালুকদাররাও অভিনয় করছেন।