প্রথম ছবিতেই আশুতোষ গোয়ারিকরের পরিচালনায় শাহরুখ খানের বিপরীতে নায়িকা। সবাই ভেবেছিলেন তিনি অনেক দূর অবধি যাবেন। কিন্তু গুণমুগ্ধদের হতাশ করে গায়ত্রী জোশী ইন্ডাস্ট্রিকে বিদায় জানান একটিমাত্র ছবি করেই।
গায়ত্রীর জন্ম ১৯৭৭ সালের ২০ মার্চ মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। সেখানেই পড়াশোনা মাউন্ট কারমেল হাই স্কুলে। তার পরে তাঁর পরিবার মুম্বই চলে আসে। গায়ত্রী স্কুলের পাঠ শেষ করেন দাদারের জে বি ভাচ্চা হাই স্কুল থেকে।
সিডেনহ্যাম কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড ইকনমিক্সে পড়ার সময় থেকেই বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের জন্য মডেলিং শুরু করেন গায়ত্রী।
১৯৯৯ সাল তাঁর জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কমার্স গ্র্যাজুয়েট গায়ত্রী সে বছর মিস ইন্ডিয়ার সেরা পাঁচ প্রতিযোগিণীর মধ্যে এক জন ছিলেন। বিদেশের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাতেও তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
সে সময় বলিউডের নায়িকা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন গায়ত্রী। প্রথমে তাঁকে দেখা গিয়েছিল দু’টি মিউজিক ভিডিয়োয়। হংসরাজ হংস এবং জগজিৎ সিংহের গানের সঙ্গে মিউজিক ভিডিয়োয় তাঁকে ভাল লেগেছিল দর্শকদের।
এর পর তিনি একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন শাহরুখ খানের বিপরীতে। তার পর তিনি-ই নায়িকা শাহরুখের ছবি ‘স্বদেশ’-এ। ২০০৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি।
‘স্বদেশ’-এর শুটিং-এর সময় অনেকেই এর তুলনা করেছিলেন ‘লগান’-এর সঙ্গে। কিন্তু আমির খানের মাইলফলক ওই ছবির কাছে পৌঁছতে পারেনি শাহরুখের ‘স্বদেশ’।
‘স্বদেশ’ ছবিতে নবাগতা গায়ত্রীর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। কেউ ভাবতে পারেননি এর পর আর অভিনয়ই করবেন না তিনি। ‘স্বদেশ’ মুক্তি পাওয়ার পরের বছর, ২০০৫-এই বিয়ে করে নেন গায়ত্রী।
তাঁর স্বামী বিকাশ ওবেরয় বিখ্যাত নির্মাণ সংস্থা ওবেরয় কনস্ট্রাকশন-এর মালিক। দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিদের মধ্যে এক জন তিনি। মুম্বইয়ের বিখ্যাত হোটেলে তাঁদের বিয়ের পার্টিতে পরিজনদের পাশাপাশি নিমন্ত্রিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে গায়ত্রীর ঘনিষ্ঠরা।
বিয়ের পরে গায়ত্রী ব্যস্ত তাঁর স্বামী, দুই সন্তানকে নিয়ে সংসারে ব্যস্ত গৃহিণী। পরিচালক ও প্রযোজকদের তরফে বহু অফার থাকলেও তিনি আর অভিনয়ে রাজি হননি।
অভিনয় থেকে দূরে সরে গেলেও ইন্ডাস্ট্রির ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে এখনও নিয়মিত যোগাযোগ আছে গায়ত্রীর।
একটি মাত্র ছবিতে অভিনয় করেই বলিউডকে বিদায় জানান শাহরুখের এই নায়িকা