গার্গী, ইন্দ্রাণী ও সুদীপ্তা
ছবির নাম যখন ‘ময়ূরাক্ষী’, তখন সেখানে নারীচরিত্র থাকতেই হবে। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবির ঘোষণায় সময় প্রসেনজিৎ সিনেমার নামের কারণ খোলসা করতে চাননি। পরিচালক অতনু ঘোষ বিষয়টা খানিকটা স্পষ্ট করলেন। জানালেন, তিন নারী রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। ইন্দ্রাণী হালদার, সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং গার্গী রায়চৌধুরী।
গল্পের কেন্দ্রে বাবা-ছেলের সম্পর্ক থাকলেও তিন নারীচরিত্রের জোরালো উপস্থিতি রয়েছে ছবিতে। ইন্দ্রাণীর চরিত্রের নাম সাহানা। সে আর্যনীলের (প্রসেনজিৎ) ছোটবেলার বন্ধু। বহু দিন পরে তাদের দেখা হয়। বদলে যেতে থাকে তাদের এত দিনের সম্পর্কের সমীকরণ। সুশোভনকে (সৌমিত্র) দেখাশোনার কাজ করে মল্লিকা (সুদীপ্তা)। বলা যায়, গোটা বাড়িটা তারই হাতে। বাইরের লোক হয়েও কী করে যেন বাবা-ছেলের সম্পর্কের মধ্যে ঢুকে পড়ে সে। গল্পের তৃতীয় নারী পারমিতার চরিত্রটাই সবচেয়ে জটিল। সেটা করছেন গার্গী। বাবা-ছেলের সংকটের মাঝে ঝড় ওঠে পারমিতাকে নিয়ে।
গল্পের চরিত্র বিশ্লেষণে এর বেশি বলা যাবে না, জানালেন পরিচালক। ইন্দ্রাণী, গার্গী, সুদীপ্তা তিন জনেই তাঁর পছন্দের অভিনেত্রী। ‘‘ছবিতে অভিনয়ের জায়গাটা খুব জোরালো। আর এরা তিন জনেই শক্তিশালী অভিনেত্রী। এদের প্রতি আমার অগাধ আস্থা।’’
গার্গী যেমন আগে পরিচালকের সঙ্গে ছোট পরদায় কাজ করেছেন। ‘‘১২ বছর পর আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। নানা ঝামেলায় কিছুতেই কোনও কিছু জমাট বাঁধছিল না,’’ বললেন গার্গী। সুদীপ্তাও জানালেন, অতনুর সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি মুখিয়ে আছেন। বললেন, ‘‘অপেক্ষার অবসান ‘৭২ ঘণ্টা’ ছবিটি দিয়ে হয়েছে। এটা দ্বিতীয় সিনেমা, যেখানে অতনুদার সঙ্গে কাজ করছি।’’ ইন্দ্রাণী টেলিফিল্ম, সিনেমা সবেতেই অতনুর সঙ্গে কাজ করেছেন। বললেন, ‘‘ওর চিত্রনাট্য আর সংলাপের ধরন আমার ভীষণ ভাল লাগে। এই ছবিটা আমার কাছে রি-ইউনিয়নের মতো। অনেক দিন পর প্রসেনজিৎ, সৌমিত্রবাবুর সঙ্গে কাজ করতে পারব।’’
পরিচালকের মতে, ‘ময়ূরাক্ষী’ খুব গভীর আর অন্তর্মুখী একটা ছবি। গল্পকে শক্ত জমিতে দাঁড় করাতে গেলে অভিনয়ের খুঁটি জোরদার হতেই হতো। সেই জায়গা থেকেই ছবির প্রতিটি চরিত্রের নির্বাচন করেছেন অতনু।