মাত্র ৩০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন। আর তাতেই টেলিভিশনের পর্দা থেকে যেন চোখ সরতে চায় না। বিজ্ঞাপনী জগতের এমনই মোহ। আর তাতে যদি যাকেন অক্ষয় কুমার, অমিতাভ বচ্চন বা দীপিকা-আলিয়ারা? তবে তো কথাই নেই। কিন্তু জানেন কি, আপনার প্রিয় স্টারেরা প্রতি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন থেকে কত টাকা আয় করেন? চোখ কপালে উঠতে পারে এর পরিমাণ শুনলে।
বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ব্যাপারে বলিউডে সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন অক্ষয় কুমার। এ ব্যাপারে শাহরুখ-আমির-সলমনদের রাজত্ব খানখান করে শীর্ষে রয়েছেন তিনি। গত বছর ‘প্যাডম্যান’, ‘গোল্ড’, ‘২.০’, দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হলে কী হবে? একটা ব্র্যান্ডে মুখ দেখাতে ‘সিধাসাধা অক্ষয়’ নেন আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা।
অক্ষয় কুমারের মতোই খানত্রয়ীকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন রণবীর সিংহ। তবে ২০১৮-তে অক্ষয়ের থেকে একটা ফিল্ম কম করেছেন তিনি। তা সত্ত্বেও এক একটা ব্র্যান্ড থেকে তাঁর আয় ছিল আনুমানিক ৮৪ কোটি টাকা।
ব্যক্তিগত জীবনে যেমন রণবীর সিংহের পাশাপাশি রয়েছে, আয়ের ব্যাপারেও তাঁর পাশেই রয়েছে দীপিকা পাডুকোন। গত বছর প্রতি বিজ্ঞাপন থেকে আয় করেছেন আনুমানিক ৭৫ কোটি টাকা।
অক্ষয় কুমার বা রণবীর-দীপিকাদের থেকে এই একটা ব্যাপারে বেশ পিছিয়ে পড়েছেন অমিতাভ বচ্চন। তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন বিগ বি। গত বছর তাঁর পকেটে ঢুকেছে প্রতি ব্র্যান্ড এনডোর্স পিছু আনুমানিক ৭২ কোটি টাকা।
বয়স মাত্র ২৬। আর এর মধ্যেই অভিনয় প্রতিভায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তবে শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, আয়ের ব্যাপারে অনেক রথী-মহারথীকে হেলায় হারাচ্ছেন আলিয়া ভট্ট। ২০১৮-তে এক একটা বিজ্ঞাপন থেকে আলিয়ার আয় কত ছিল জানেন? আনুমানিক ৬৮ কোটি টাকা।
বলিউড নিয়ে কথা হবে, আর শাহরুখ খানের নাম উঠবে না! তা কখনও হয় নাকি? শেভিং ক্রিম হোক বা ঘরে বসে বাজার করার অ্যাপ, অথবা লার্নিং অ্যাপ, সবেতেই দেখা যায় বলিউডের বাদশাকে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন থেকে গত বছরে তাঁর আয় ছিল ব্র্যান্ড পিছু আনুমানিক ৫৬ কোটি টাকা।
আলিয়ার মতো বরুণ ধওয়নও ফি বছরে গাদাগুচ্ছের ফিল্ম করেন না। কখনও বছরে একটা, কখনও বা তিনটে ফিল্মে মুখ দেখান তিনি। তবে বিজ্ঞাপনে ভরপুর দেখা যায় তাঁকে। অন্তর্বাস থেকে শুরু করে ঠান্ডা পানীয়, সবেতেই কুল বরুণ। শাহরুখের পরেই রয়েছেন তিনি। গত বছর শুধুমাত্র একটা বিজ্ঞাপন এনডোর্স করেই তাঁর ঘরে এসেছে আনুমানিক ৪৮ কোটি টাকা।
আমির খান বা শাহরুখ খানদের মতো ফি বছরে মাত্র একটা বা দুটো ফিল্মে দেখা যায় সলমন খানকেও। তবে ভাববেন না, তাতে তাঁর আয় কিছু কম হচ্ছে। শুধুমাত্র একটা বিজ্ঞপনী ছবি বা ব্র্যান্ড প্রমোশন থেকে সল্লু মিয়াঁর গত বছরে নিয়েছিলেন আনুমানিক ৪০ কোটি টাকা।
মেকআপ কিট, শ্যাম্পু থেকে শুরু করে ফ্যাশনেবল ব্যাগ, করিনা কপূর খানের প্রমোট করা ব্র্যান্ডের সংখ্যাও নেহাত কম কিছু নয়। প্রতিটি এনডোর্সমেন্টের জন্য তিনি গত বছরে চার্জ করেছেন আনুমানিক ৩২ কোটি টাকা।
‘ঠগস অব হিন্দোস্থান’ এবং ‘জিরো’, গত বছর মাত্র দু’টি ফিল্মে দেখা গিয়েছে ক্যাটরিনা কাইফকে। তবে ঠান্ডা পানীয়, গয়না, চশমার ফ্রেম থেকে মেকআপ, একের পর এক বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আর সেই সব ব্র্যান্ড এনডোর্স করার জন্য পারিশ্রমিক নিয়েছেন আনুমানিক ৩০ কোটি টাকা করে।