মিমি চক্রবর্তী এবং পার্নো মিত্র।
একই রাজনৈতিক দলের সহ-অভিনেতাদের মধ্যে উপহার বিনিময় আকছার ঘটে। এই ঘটনাই ২ বিরোধী দলের রাজনীতিবিদ যদি ঘটান? তা হলেই উদাহরণ তৈরি হয়। যেমন, মিমি চক্রবর্তী-পার্নো মিত্র। মঙ্গলবার সকালে শাসকদলের সাংসদ-তারকা মিমি
বিরোধী দলের সদস্য-বন্ধু পার্নোকে এক বাক্স আম উপহার পাঠিয়েছেন। আম পেয়ে খুশি পার্নো! ঝটপট ছবি তুলে ভাগ করে নিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। সেই স্টোরিতেই তিনি ট্যাগ করেছেন মিমি চক্রবর্তীকে। ছবি সম্বন্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, মিমির এই ‘ভাল মন’টকে তিনি বড্ড ভালবাসেন।
একই দলের ২ সাংসদ-তারকা মিমি-নুসরত জাহানের বন্ধুত্ব যেমন অনায়াস ততটাই গভীর মিমি-পার্নোর বন্ধুত্বও। সেই বন্ধুত্বের খাতিরেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২ বিরোধী শিবিরের বন্ধু গোয়া বেড়াতে চলে গিয়েছিলেন। যদিও তাঁদের এই বেড়াতে যাওয়া নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। অনেকেই ভেবেছিলেন, বন্ধুর হাত ধরে শাসকদল ছেড়ে মিমি বিরোধী শিবিরে পা রাখার চেষ্টা করছেন। পরে যদিও নিন্দুকদের সেই ভাবনা ভুল প্রমাণিত হয়।
নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর আগেও মিমি নেটমাধ্যমে পার্নোকে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার অনুরোধও জানিয়েছিলেন। আনন্দবাজার ডিজিটালকে সেই সময় পার্নো জানিয়েছিলেন, ‘‘মিমি রীতিমতো শাসন করে বলেছে, এক দম দুশ্চিন্তা করবি না। বেশি ভাবলে তুই অসুস্থ হয়ে পড়িস। নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখ।’’ একই ভাবে পার্নোর অনুরোধে অতিমারিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শাসকদলের আরেক সাংসদ দেব অধিকারী।
পার্নোর ইনস্টাগ্রাম স্টোরি।
এ ভাবেই বিরোধী শিবিরের তারকা রাজনীতিবিদেরা সৌজন্যের নজির গড়েছেন। যশ দাশগুপ্ত, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তীর মতো তারকা প্রার্থীরা পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান দেব, রাজ চক্রবর্তী, মিমি চক্রবর্তী সহ একাধিক শাসকদলের তারকা রাজনীতিবিদ। পরাজিত হওয়ার পরেও বিরোধী দলের অভিনেতা-বন্ধুদের পাশেই থাকতে দেখা গিয়েছে