গৌরব এবং দেবলীনা।
‘দোস্তি বিনা তো প্যায়ার হোতাহি নেহি।’ বাক্যটির বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, বন্ধুত্ব ছাড়া ভালবাসা গড়েই ওঠে না।
মুক্তির ২২ বছরে পরেও ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে শাহরুখ খানের এই সংলাপ অনেকের কাছেই বেদবাক্যের মতো। তাঁরা মনে করেন, বন্ধুত্বই সফল প্রেম বা দাম্পত্যের চাবিকাঠি । কিন্তু কর্ণ জোহরের দেখিয়ে দেওয়া এই ‘ফর্মুলা’-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্রোতের উল্টো দিকে হেঁটেছেন টলিপাড়ার দেবলীনা কুমার এবং গৌরব চট্টোপাধ্যায়। সেই গল্পই বন্ধুত্ব দিবসে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন দেবলীনা।
২০১৭ সালে গৌরবের দিদির বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় অভিনেতার সঙ্গে আলাপ দেবলীনার। সেই আলাপ থেকেই ভাল লাগা। ভাল লাগা থেকে প্রেম। এর মাঝে আসেনি বন্ধু হয়ে ওঠার সুযোগ। দেবলীনার কথায়, “শুরুতেই আমরা প্রেমে পড়েছি। বন্ধুদের মতো কথাবার্তা বলা বা ঘুরতে যাওয়া, কোনওটাই সে ভাবে ঘটেনি।” সম্পর্ক যত এগিয়েছে, গড়ে উঠেছে বোঝাপড়া। এক সঙ্গে থাকতে থাকতেই একে অপরের পছন্দ, অপছন্দগুলো জেনে ফেলেছেন তাঁরা।
গত বছর ডিসেম্বরে বিয়ে করেছেন গৌরব-দেবলীনা। একসঙ্গে নিজেদের সংসার গুছিয়েছেন দু’জন। বন্ধুত্ব ছাড়া কি সম্ভব? প্রশ্ন ছুড়ে দিতেই খানিক হেসে দেবলীনার উত্তর, “আমি মনে করি সব সম্পর্কেই একটা বন্ধুত্ব থাকে। অভিভাবকও সন্তানের বন্ধুর মতো হন। আমার আর গৌরবের মধ্যেও সে রকমই আলাদা করে কোনও বন্ধুত্ব তৈরি হয়নি।”
তাই ভালবাসা দিবসে উপহারের ঘনঘটা থাকলেও তাঁদের বন্ধুত্ব দিবস কাটে আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতো করেই। কারণ গৌরব এবং দেবলীনা আগাগোড়াই তাঁদের সম্পর্কে বন্ধুত্বের থেকে প্রেমকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। বিগত তিন বছর ধরে তাই এই দিনটা উদ্যাপন বলতে শুধু রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া। “আমি আর গৌরব কখনওই বন্ধু ছিলাম না। শুরুতেই আমরা প্রেমে পড়ে গিয়েছি। তাই অন্তত আমার কাছে বন্ধুত্ব দিবসের কোনও গুরুত্ব নেই”, বললেন দেবলীনা। সুতরাং রাহুল খন্না (‘কুছ কুছু হোতা হ্যায়’ ছবিতে শাহরুখের চরিত্র) যতই বলুক ‘প্যায়ার দোস্তি হ্যায়’, দেবলীনা-গৌরব কিন্তু চলেছেন নিজেদের শর্তেই।