‘মির্জা’ ছবিতে অঙ্কুশের লুক। ছবি: সংগৃহীত।
শুক্রবার সকাল থেকেই সমাজমাধ্যমে অঙ্কুশের একটি পোস্ট ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। অঙ্কুশের প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘মির্জা’ নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অঙ্কুশ। অভিনেতা নিজে কারও নাম নিতে না চাইলেও ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন মহলের ইঙ্গিত, ছবির প্রাক্তন সহ-প্রযোজকের তরফেই যাবতীয় গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
প্রথমে অঙ্কুশের সঙ্গে ‘মির্জা’ প্রযোজনা করার কথা ছিল ‘নেক্সজেন ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেড’-এর। কিন্তু পরবর্তী কালে অঙ্কুশ সংস্থার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন করেন। সেই প্রসঙ্গে অভিনেতার তরফে সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। এই ছবির যাবতীয় স্বত্ব অঙ্কুশের কাছে রয়েছে। তাই ইন্ডাস্ট্রির একাংশের মতে, ছবির কাজে পুরনো প্রযোজনা সংস্থা বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে। সত্য কী? জানতে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে ‘নেক্সজেন ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেড’-এর কর্ণধার রক্তিম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনি কি ‘মির্জা’ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছেন? রক্তিম বললেন, ‘‘যার যা ভাবার ভাবতেই পারেন। কিন্তু গুজব ছড়িয়ে আমারই তো লোকসান। আমি আমার মতো ছবি করতে চাইছি। অঙ্কুশকে আমার তরফে ‘মির্জা’র জন্য অনেক শুভেচ্ছা।’’
‘নেক্সজেন ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেড’-এর কর্ণধার রক্তিম চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
তবে এখানেই শেষ নয়। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে প্রযোজক দাবি করলেন, নিজের প্রযোজনা সংস্থার অধীনে একটি ছবির শুটিং নাকি ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন রক্তিম। সেই ছবিতে কোনও সুপারস্টার নেই বলেও দাবি করলেন তিনি। কিন্তু ‘মির্জা’ নামটির স্বত্ব তো অঙ্কুশের কাছে রয়েছে! প্রযোজক বললেন, ‘‘আমার ছবির নামে তো ‘মির্জা’-র সঙ্গে আরও কিছু শব্দ জুড়তে পারে।’’ তবে এই ছবির কাস্টিং বা শুটিং নিয়ে এখনই কোনও তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানাতে চাইছেন না প্রযোজক। তাঁর কথায়, ‘‘দুটো ছবিই তৈরি হোক। কার ছবিটা ভাল হয়েছে সেটা না হয় দর্শক বিচার করবেন।’’ কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে এ রকম খবরও শোনা যাচ্ছে যে রক্তিম নাকি কোনও ছবির শুটিংই শুরু করেননি। সবটাই নেতিবাচক প্রচারের কৌশল। রক্তিম বললেন, ‘‘লুক সেট হয়ে গিয়েছে। তিন দিন শুটিংও করে ফেলেছি। সময় এলে সবাই তার প্রমাণ পাবেন।’’
এ রকমও অভিযোগ উঠছে যে ‘মির্জা’-র পরিচালককে ভাঙিয়ে নিতে চেয়েছেন রক্তিম। এই প্রসঙ্গে তাঁর জবাব, ‘‘আমি ফোন করেছিলাম। উনি কিন্তু অঙ্কুশের ছবিটাই পরিচালনা করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। শুনে আমি খুব খুশি হই। তার থেকেও বড় কথা, নিজের ছবির জন্য আমি ইন্ডাস্ট্রির কলাকুশলীকে ফোন করলে সেখানে আপত্তি কেন উঠছে সেটাই বুঝতে পারছি না।’’
রক্তিমের দাবি, তিনি অঙ্কুশের সঙ্গে কোনও লড়াইয়ে যেতে চান না। বরং ভাল ছবি তৈরিই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। তবে মুখে যা-ই বলুন, চাপা প্রতিযোগিতার আভাস পাচ্ছেন অনেকেই। এখন ‘মির্জা’ নিয়ে জল আরও কতটা ঘোলা হয়, সেটাই দেখার।