(বাঁ দিকে) পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। (ডান দিকে) ‘গোধূলি গগনে’ নাটকের মহড়ায় অভিনেতারা। ছবি: সংগৃহীত।
এক দিকে রয়েছে ফেলে আসা সময়ের স্মৃতি। অন্য দিকে রয়েছে ক্রমশ বদলাতে থাকা আধুনিক সমাজ। এই দুইয়ের মাঝে কিছু চরিত্র। এই প্রেক্ষাপটেই ‘আওয়ার টাউন’ নাটকটি লিখেছিলেন আমেরিকান নাট্যকার থর্নটন ওয়াইল্ডার। এ বার সেই নাটক অবলম্বনেই নাটক লিখেছেন পরিচালক পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। নাম ‘গোধূলি গগনে’। ‘রাসবিহারী শৈলুষিক’ প্রযোজিত নাটকটির নির্দেশকও তিনি।
পদ্মনাভ টলিপাড়ার একজন সফল চিত্রনাট্যকার। দর্শক তাঁর অভিনয়েরও সাক্ষী থেকেছেন। হঠাৎ নির্দেশনার ভাবনা কেন? পদ্মনাভ বললেন, ‘‘কমলেশ্বরের (মুখোপাধ্যায়) হাত ধরেই এই দলটা শুরু হয়। প্রায় ২৫ বছর এই দলটার সঙ্গে আমি জড়িত। মাঝে কমলেশ্বর কাজের জন্য দেড় মাসের ছুটি নেয়। তখন এই নাটকটার কথা মাথায় আসে।’’ নির্দেশক জানালেন, অতিমারির সময় মূল নাটকটি তিনি পড়েছিলেন।
‘গোধূলি গগনে’ নাটকের মহড়ায় শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত।
এই নাটকে কলকাতা শহরের দীর্ঘ সময়কালকে ধরতে চেয়েছিলেন পদ্মনাভ। বললেন, ‘‘মূল নাটকের কাঠামোটুকু নিয়েছি। এই নাটকে আশির দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সময়কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’’ নকশাল আন্দোলন কর্মী বা সাধারণ সরকারি কর্মচারী থেকে পাড়ার উঠতি ফুটবলার বা কলেজপড়ুয়ারা নাটকের চরিত্র হয়ে উঠছে। প্রথম নির্দেশনার অভিজ্ঞতা কী রকম? পদ্মনাভ বললেন, ‘‘খুব সুন্দর। কারণ, অন্য কোনও দল হলে আমাকে অনেকটাই ভাবতে হত। কিন্তু এই দলের অধিকাংশ সদস্য আমার দীর্ঘ দিনের পরিচিত।’’ এরই সঙ্গে পদ্মনাভের সংযোজন, ‘‘এই নাটকে বিভিন্ন বয়সের অভিনেতারা রয়েছেন। ফলে নাটকের সময়কালের সঙ্গেও তাঁরা মিশে যেতে পেরেছেন।’’
শহর কলকাতার দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন শব্দকে নাটকের আবহের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। অভিনয়ে রয়েছেন গৌতম পুরকায়স্থ, অর্জুন দাশগুপ্ত, শ্রমণা ঘোষ, নবনীতা দত্ত প্রমুখ। পদ্মনাভ নিজেও নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রবিবার ৬ অগস্ট জ্ঞান মঞ্চে নাটকের প্রথম শো। পদ্মনাভ বললেন, ‘‘এর পরেও নাটকটির শোয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু খুব ঘন ঘন শো করতে চাই না। আমি চাই, নাটকটা দেখার পর দর্শক একটু ভাবুন।’’