নববর্ষের আগেই জমজমাট বাংলা বিনোদন দুনিয়া। বাংলা নতুন বছরে এক মুঠো ছবি-মুক্তি তো আছেই। বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে প্রতীক্ষিত পৌরাণিক রহস্য-রোমাঞ্চ সিরিজ ‘মহাভারত মার্ডারস’-এর প্রথম লুক। সৌমিক হালদারের পরিচালনায় হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে এই সিরিজ। চৈত্রশেষে প্রকাশ্যে আসা ছোট্ট ঝলক সিনেপ্রেমীদের মনে পড়িয়ে দিয়েছে রণবীর কপূর-ক্যাটরিনা কইফ অভিনীত ‘রাজনীতি’র কথা। ছবি-মুক্তির আগে প্রকাশ ঝা জানিয়েছিলেন, মহাভারত তাঁর এই ছবির অনুপ্রেরণা।
বৈদিক যুগের দুই মহাকাব্য রামায়ণ এবং মহাভারত একুশ শতকেও সমান প্রাসঙ্গিক। বিশেষত মহাভারত। যে কোনও রাজনৈতিক তরজায় অনায়াসে জায়গা করে নেয় কৌরব-পাণ্ডবের সিংহাসন দখলের লড়াই। সৌমিকের প্রশ্ন, কুরুক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত লড়েও হার মানতে হয়েছিল দুর্যোধনকে। হেরে গিয়েছিল কৌরব পক্ষ। একুশ শতকে সেই হারের বদলা নিতে ফের যদি জন্ম নেন কৌরব সেনাপতি? যদি অতীতের পরাজয়ের বদলা নেন? কী হবে তার পরিণতি? সেই উত্তরই খুঁজবে নতুন সিরিজ।
গ্রাফিক্সে মহাভারতের যুদ্ধের আবহ রচনা করেই ঝলকে একের পর এক অভিনেতাদের চেহারা প্রকাশ্যে। সিরিজে সম্ভবত যুধিষ্ঠির ওরফে ‘পবিত্র’র ভূমিকায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সাদা পাঞ্জাবি, জহর কোট, চশমায় সজ্জিত শাশ্বতর জোড়হাতের ছবি দেখে অনুমান, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। রাজদীপ গুপ্ত ‘প্রকাশ’। ‘আবিরলাল’-এর ভূমিকায় কৌশিক সেন। অর্ণ মুখোপাধ্যায় ‘বিপুল’। ঋষভ বসু ‘ভিকি’। দেবাশিস মণ্ডলকে দেখা যাবে ‘জাভেদ’-এর চরিত্রে। ‘সিদ্ধার্থ’ ওরফে সম্ভবত অর্জুনের ভূমিকায় থাকছেন অর্জুন চক্রবর্তী।
কিন্তু এঁদের মধ্যে দুর্যোধন কে? জবাব দেননি পরিচালক। বরং চরিত্রাভিনেতাদের প্রকাশ্যে এনেই তাঁর পরের প্রশ্ন, কলিযুগের কুরুক্ষেত্রে এঁদের রক্ষা করবেন কে? তার পরেই ঝলকে স্পষ্ট প্রিয়াঙ্কা সরকারের মুখ। তিনিই কি সিরিজে ‘দ্রৌপদী’? যদিও ঝলক বলছে, তাঁর অভিনীত চরিত্রের নাম রুকসানা।