গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নজরুল মঞ্চে কেকে-র অনুষ্ঠানে আসনসংখ্যার তুলনায় অনেক লোকজন ঢুকেছিল। কেকে-র মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কার্যত স্বীকার করে নিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিম। ওই প্রেক্ষাগৃহটি বাতানুকূল হলেও তাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিড় থাকায় ‘পরিস্থিতি বিগড়ে’ গিয়ে থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিলেন ববি।
বুধবার সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘‘প্রেক্ষাগৃহে ক্যাপাসিটি-র (আসনসংখ্যার) থেকে বেশি লোক ছিল। (কেকে-র অনুষ্ঠানে) মানুষের উচ্ছ্বাস আটকানো যায়নি। তবে এসি ঠিক ছিল।’’ বস্তুত, বুধবার সকালেই আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান চলাকালীন বার বার বেসামাল ভিড়ের মাঝে বাতানুকূল যন্ত্রটি ঠিকঠাক চলছিল কি না, সে প্রশ্নও উঠছে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের পরেই হোটেলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। কেকে-র অকালমৃত্যুতে প্রেক্ষাগৃহের বেলাগাম ভিড় বা পরিস্থিতি সামলাতে উদ্যোক্তাদের ব্যর্থতাই দায়ী কি না, প্রশ্ন উঠছে। নজরুল মঞ্চে দু’হাজার আসনসংখ্যার বদলে সাত হাজার লোক ছিল বলে অভিযোগ। সত্যিই কি তাই? সংবাদমাধ্যমের সে প্রশ্নের জবাবে বুধবার ববি বলেন, ‘‘হ্যাঁ! কেএমডিএ-র তরফ থেকে ওই কলেজের অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের অনুষ্ঠানে সিট নষ্ট হয়ে যায় বলে ওখানকার কর্তৃপক্ষ বলেছেন। তবে নজরুল মঞ্চের এসি যথেষ্ট ভাল। কিন্তু দরজা বার বার খুললে অসুবিধে হয়। তবে সাতাশশো ক্যাপাসিটির এসি, সেটা সাত হাজার হলে তো মানুষের গরম লাগবেই।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।