কালো পোশাক পরা নিরাপত্তারক্ষীরা যখন নজরুল মঞ্চে ভিড় সরিয়ে গায়ক কেকে-র যাওয়ার জন্য রাস্তা করে দিচ্ছেন, তখনই দৃশ্যতই বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে।
অথচ মিনিট দশেক আগেও তিনি মঞ্চ কাঁপিয়েছেন। মাতিয়ে দিয়েছেন গুরুদাস কলেজের ‘ফেস্ট’। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান শেষ করেন তাঁর নব্বইয়ের দশকের সাড়া ফেলা বন্ধুত্বের গান দিয়ে। মঙ্গলবার রাতে মঞ্চ থেকে নামার আগেও গেয়েছেন, ‘ইয়ারো দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়, ইয়ে না হো তো কেয়া ফির বোলো ইয়ে জিন্দগি হ্যায়...’ । কিন্তু সেই শেষ গান গাইতে উঠে সম্ভবত অসুস্থ হয়ে পড়েন শিল্পী। কারণ স্টেজ থেকে নেমে যখন হেঁটে তিনি নজরুল মঞ্চের বাইরে বেরোচ্ছেন তখন তাঁর মুখের হাসি মিলিয়ে গিয়েছে, চোখ বুজে এসেছে ক্লান্তিতে। কুলকুল করে ঘামছেন গায়ক।
মঞ্চে গায়কের শেষ ভিডিয়ো ছিল ওটিই। তবে প্রকাশ্যে এসেছে আরও কয়েকটি ভিডিয়ো। সেগুলি আরও আগের। তার একটিতে দেখা গিয়েছে অনুষ্ঠান চলাকালীনই বার বার অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন গায়ক। পাশে সঙ্গীদের বুঝিয়েছেন তাঁর গরম লাগছে। এমনকি, গান গাইতে গাইতে কিছু ক্ষণের জন্য থেমে মঞ্চের পাশে এসে ঘাম মুছতেও দেখা গিয়েছে শিল্পীকে। তবু থামেননি। শেষ গান গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ করে মঞ্চ থেকে নেমেছেন। পারফর্মার এবং শিল্পী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব থেকে অসুস্থ হয়েও চ্যুত হননি কেকে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।