পাভেল
বাংলার পাশাপাশি পাভেল বলিউডেও পা রাখলেন অমর কৌশিকের ‘বালা’ দিয়ে। ছবির মূল গল্প তাঁর। কমলকান্ত চন্দ্র নামে এক ব্যক্তি এই ছবির পরিচালক-প্রযোজকসহ মুখ্য অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ এনেছিলেন। ‘‘আমার গল্পের রেজিস্ট্রেশন হয় ২০১৬ সালে। আর অভিযোগকারীর ২০১৮ সালে। আমি মুম্বইয়ে থানায় গিয়ে সব কাগজপত্র দেখিয়ে আসি। বাংলায় অভিমন্যু মুখোপাধ্যায় ‘টেকো’ নামে একটি ছবি করেছেন। অসময়ে টাক পড়ে যাওয়া, এটা একটা কনসেপ্ট। গল্পগুলো সব আলাদা,’’ বলছিলেন পাভেল। ‘বালা’র নির্মাতাদের সঙ্গেই অন্য ছবির জন্য গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লেখার কথা চলছে তাঁর। হাতে আছে আরও একটি হিন্দি প্রজেক্ট।
এই মুহূর্তে শুট চলছে ‘অসুর’-এর। প্রথম বার জিৎকে পরিচালনা করছেন পাভেল। এর আগে পাভেলের লেখা চিত্রনাট্যে ‘বাচ্চা শ্বশুর’ করেছিলেন অভিনেতা।
পাভেলের ‘অসুর’ শিল্পী রামকিঙ্কর বেজকে ট্রিবিউট। যেখানে জিতের মুখোমুখি আবীর চট্টোপাধ্যায়। দুই ঘরানার নায়ককে সামলাচ্ছেন কী ভাবে? ‘‘আমি ঘরানা বুঝি না। চরিত্র ভাবি, গল্প ভাবি। এই দুটো চরিত্র ওঁরা ছাড়া কেউ পারতেন না।’’ আর নুসরত জাহান? ‘‘ও আমার ছবিতে সারপ্রাইজ় এলিমেন্ট। সাধারণত নায়িকাদের দেরি করে আসা নিয়ে আমি খুব বিরক্ত হই। তবে নুসরত রাজনৈতিক কাজ সামলেও কোনও ঝামেলা করেনি। এত ভাল অভিনয় করছে যে, এই ছবি ওর কেরিয়ারে মাইলফলক হবে।’’
‘অসুর’-এর শুটিং শেষ হলে পাভেল শুরু করতে পারেন ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ বা অন্য একটি বাংলা ছবির কাজ। একটি শুরু হবে নভেম্বরে, অন্যটি ফেব্রুয়ারিতে। ‘‘সাধারণত শিল্পীদের ডেট খালি থাকে না। কিন্তু আমি এত ব্যস্ত যে, আগামী জুলাই পর্যন্ত ডেট খালি নেই,’’ বললেন তিনি। ‘গুপী গাইন’-এ নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা থাকবেন। শোনা যাচ্ছে, দু’টির মধ্যে কোনও একটিতে কাজ করতে পারেন ঋদ্ধি সেন।
বড় বাজেট, বড় স্কেল ছাড়া কি পাভেল ছবি করবেন না? ‘‘সিনেমাকে লার্জার দ্যান লাইফ হিসেবে দেখি। প্রযোজকেরাও আমার উপরে ভরসা রাখছেন। যদি কখনও বেডরুম ড্রামা করি, তখন নিশ্চয়ই এত দিনের শিডিউল হবে না,’’ বললেন তিনি।