শাহরুখ খান ও ফারহা খান। ছবি-সংগৃহীত।
পর্দায় শাহরুখ খান দু’হাত মেলে ধরলে আজও তাঁর ভক্তরা মুগ্ধ হয়ে দেখেন। আট থেকে ৮০, বিশ্ব জুড়ে রয়েছে তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। কিন্তু আজ থেকে ২৬ বছর আগেই নিজেকে বয়স্ক ভাবতে শুরু করেছিলেন বলি-তারকা। সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অতীত খুঁড়ে সেই কথা প্রকাশ্যে আনলেন পরিচালক ফারহা খান।
১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। তখন শাহরুখের ৩০ বছর বয়স। এই ছবিতে এক কলেজ পড়ুয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু কর্ণ জোহর পরিচালিত ছবিতে অভিনয় করার নাকি একেবারেই ইচ্ছে ছিল না শাহরুখের।
এই ছবিতে কোরিয়োগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছিলেন ফারহা। কলেজ পড়ুয়ার চরিত্র বলেই নাকি আপত্তি ছিল তাঁর। তিনি বলেন, “শাহরুখ মরতে মরতে এই ছবিতে অভিনয় করেছিল। ও বলত কলেজ পড়ুয়া হিসেবে ওই চরিত্রে ওকে নাকি খুব বয়স্ক লাগবে। তখন ওর বড় জোর ৩০ বছর বয়স।”
‘কফি উইথ কর্ণ’-তেও শাহরুখকে এক বার জিজ্ঞাসা করা হয়, কোন ছবিতে অভিনয় করে তাঁর এখন অনুশোচনা হয়। উত্তরে তিনি ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির নামই উল্লেখ করেন।
এই কারণেই ‘ম্যায় হুঁ না’ (২০০৪) ছবি তৈরি করার সময় ফারহা খান মাথায় রেখেছিলেন, শাহরুখকে কলেজ পড়ুয়ার চরিত্রে অভিনয় করানো যাবে না। আর তাই নতুন করে অভিনেতার জন্য চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি। সেই ছবিতে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন বাদশা।
উল্লেখ্য, এই সময় শাহরুখ তাঁর পরবর্তী ছবি ‘কিং’ নিয়ে ব্যস্ত। এ ছাড়াও তাঁর হাতে রয়েছে ‘টাইগার ভার্সাস পাঠান’।