কুমার শানু। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে নব্বইয়ের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়ক তিনি। কাজ করেছেন রাহুল দেব বর্মণের মতো তাবড় তারকা সুরকারের সঙ্গে। শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন ‘এক লড়কি কো দেখা তো’র মতো অবিস্মরণীয় গান। জিতেছেন একাধিক নামী-দামি পুরস্কারও। তাঁর ভক্তকুলের আয়তনও কিছু কম নয়। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় গায়ক বলে কথা, তাঁর আবেদন এখনও অমলিন অনুরাগীদের কাছে। আজও তাঁর গানের সুবাদে স্মৃতিসরণিতে হারিয়ে যান শ্রোতারা। সেই গায়কের গলাতেই অভিমানের সুর! শ্রোতা ও অনুরাগীদের ভালবাসা পেয়েছেন বটে, তবে সরকারের তরফ থেকে তেমন কোনও সম্মান পাননি তিনি। সেই আক্ষেপের কথা বলতে গিয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন কুমার শানু।
গত মাসের শেষের দিকে ঘোষিত হয়েছে চলতি বছরের জাতীয় পুরস্কারজয়ীদের তালিকা। ৬৯তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে সেরা প্লেব্যাক গায়কের সম্মান পেয়েছেন কাল ভৈরব, যিনি ‘আরআরআর’ ছবির ‘নাটু নাটু’ গানটি গেয়েছিলেন। অন্য দিকে, সেরা প্লেব্যাক গায়িকার সম্মান অর্জন করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল। বাঙালি গায়িকাকে এই সম্মান পেতে দেখে খুশি কুমার শানু। তবে নিজের প্রায় চার দশকের কর্মজীবনে এক বারও জাতীয় পুরস্কার পাননি তিনি নিজে। তা নিয়ে আক্ষেপও কম নয় শানুর। গায়কের কথায়, ‘‘আমার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। আমার পদ্মভূষণও পাওয়া উচিত ছিল। আমি আর এগুলো নিয়ে ভাবি না। যদিও খারাপ তো লাগেই, কষ্ট হয়। তবে আমি এটাও বুঝি যে, সেই রকম তেল দেওয়ার মতো ক্ষমতা না থাকলে এই সব সম্মান পাওয়াও যায় না।’’ শানু আরও বলেন, ‘‘আজকাল এটা সবাই বোঝেন, সাধারণ দর্শক ও শ্রোতারাও পুরস্কারের নেপথ্যের কারসাজি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তেলা মাথায় তেল দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে চললে তবেই এখন পুরস্কার পাওয়া যায়।’’
আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে সুরেলা সফরের সূত্রপাত কুমার শানুর। গত চার দশকে একাধিক হিট ও জনপ্রিয় গানের নেপথ্যে থেকেছেন বাঙালি এই গায়ক। ২০০৯ সালে সম্মানিত হয়েছিলেন ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে। তবে কর্মজীবনের শিখরে থাকাকালীনও মেলেনি জাতীয় পুরস্কার। তবে কি সেই সম্মান অধরাই থেকে যাবে শানুর? গায়কের কথায়, ‘‘সরকার যদি কখনও যোগ্য মনে করে আমাকে, তা হলে দেবে। না দিলে আমি কী করব!’’