দিব্যেন্দু
তিনি আর মুন্না ত্রিপাঠী এখন সমার্থক। পুণে এফটিআইআই থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিনেতা দিব্যেন্দু শর্মা কিন্তু নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বই আসেননি। তবে ‘মির্জ়াপুর’-এর দ্বিতীয় সিজ়নের ‘হিরো’ তিনিই। এই সিজ়নে মুন্নার মানবিক দিকটা তুলে ধরাই তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, জানালেন দিব্যেন্দু। শেষ পর্বে মারা যায় মুন্না। অথচ আগামী সিজ়নে তাঁর ফিরে আসার প্রবল গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি নিজে কী বলছেন? ‘‘মুন্না প্রথম থেকেই অথর-ব্যাকড চরিত্র। চলতি সিজ়নের পরেও তাকে নিয়ে হয়তো কিছু ভেবে রেখেছেন নির্মাতারা। আমি এখনই সেটা ভাঙব না। মুন্নার কামব্যাকটা সারপ্রাইজ়ই থাক,’’ বললেন তিনি।
প্রথম ছবি ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ থেকেই নজর কেড়েছিলেন দিব্যেন্দু। নবাগত হিসেবে একাধিক পুরস্কারও জিতেছিলেন সে ছবির জন্য। তার পরে ‘চশমে বদ্দুর’, ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’-সহ একাধিক ছবিতে কমেডি চরিত্রই পেয়ে আসছিলেন। ‘‘পরপর যদি একই রকম চরিত্র করে যেতাম, লোকে আমাকে সে ভাবেই দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যেত। আমি সেই ছকটা ভেঙে বেরোতে চেয়েছিলাম, সচেতন ভাবে। দিল্লিতে থিয়েটার করতাম, এফটিআইআই-এ অভিনয়ের তালিমও নিয়েছি। মুম্বইয়ে নায়ক হতে নয়, বিভিন্ন ধরনের চরিত্র হয়ে উঠতেই এসেছিলাম। আর সেই আত্মবিশ্বাসটা যে কোনও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিনেতার মধ্যেই থাকে। তাঁরা ভয় পান না,’’ মত তাঁর। বিশ্বাস করেন, যদি অভিনেতার যোগ্যতা না থাকে, তা হলে প্রশ্ন উঠবেই। সে ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের কেউ হোন, আর বাইরের।
‘মির্জ়াপুর’-এর পরে কতটা পাল্টেছে তাঁর জীবন? ‘‘পরিধিটা বেড়ে গিয়েছে, এটা বলতেই হবে। বিভিন্ন ধরনের অফার আসতে শুরু করেছে এখন। দর্শক মুন্না ভাইয়াকে এত ভালবেসেছেন, যে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। অনেক পরিশ্রমও করেছিলাম চরিত্রটার জন্য। মজার চরিত্রে আমাকে দেখতেই সকলে অভ্যস্ত ছিলেন এত দিন, আর এখন ডার্ক চরিত্র, ড্রামাটিক চরিত্রের প্রস্তাব আসছে পরপর,’’ হেসে উঠলেন দিব্যেন্দু।
ওয়েব প্ল্যাটফর্মে দিব্যেন্দুর যাত্রা বেশি দিনের নয়। তাঁর দ্বিতীয় ওয়েব সিরিজ় ‘বিচ্ছু কা খেল’ হুডানইট জ়ঁরের থ্রিলার, যা মুক্তি পাচ্ছে শিগগিরই। দিব্যেন্দু মনে করেন, ওয়েবের কনটেন্ট যেহেতু আন্তর্জাতিক স্তরে পাল্লা দেয়, তাই তার দায়িত্বও বেশি। দেশজ কনটেন্ট যাতে বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পায়, তার স্বপ্ন দেখেন অভিনেতা।