পুরব।
প্র: ‘আউট অব লাভ’ সিরিজ়ের প্রথম সিজ়ন সফল হয়েছে। আকর্ষ কপূরের মতো চরিত্রে অভিনয় করা কতটা কঠিন ছিল?
উ: কঠিন ছিল। কারণ, আকর্ষ কপূরের মধ্যে কোনও কিছুর প্রতি সহানুভূতি নেই। প্রথম সিজ়নের পরিচালক তিগমাংশু ধুলিয়ার সঙ্গে আমি যখন আলোচনায় বসতাম, তখন আমার মাথায় একটাই প্রশ্ন ঘুরত, কী ভাবে চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলব। বরং দ্বিতীয় সিজ়নে আকর্ষের চরিত্রে অভিনয় করাটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল। কারণ চরিত্রটাকে আমি বুঝতে পেরেছি। এখন আকর্ষের একটাই লক্ষ্য, প্রতিহিংসা। এ বার সিজ়ন পরিচালনা করেছেন একজন বাঙালি, অনি সেন।
প্র: ব্যক্তিগত জীবনে পুরব কি প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী?
উ: একদমই নয়। ছাত্রজীবনে সুইট রিভেঞ্জ নিয়েছি, কিন্তু এখন নয়।
প্র: সিরিজ়ে রসিকা দুগ্গলের সঙ্গে অভিনয় করে কেমন লাগল?
উ: রসিকাকে আমি অনেক দিন ধরে চিনি। ওঁর বর মুকুলকেও (চড্ডা) চিনি বহু দিন। আমি নিজে ট্রেনড অভিনেতা নই, তাই প্রশিক্ষিত অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে খুব ভাল লাগে। অনেক কিছু শেখা যায়। আমার আর রসিকার খুব ভাল কিছু দৃশ্য এবং সংলাপ রয়েছে সিরিজ়ে। আমরা দু’জনে দারুণ বন্ধু না হলেও কাজ করতে খুব কমফর্টেবল।
প্র: দুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে এসে অন্য প্রান্তে শুটিং করার অনেক ঝক্কি, তাই না?
উ: (হেসে) তা আর বলতে! এখন তো প্লেনে ওঠাটাই একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর আমরা যখন উটিতে শুট করতে যাই, তখন সবে আনলক ফেজ় শুরু হয়েছিল। তাই আমাদের অনেক কিছুই অজানা ছিল। কিন্তু সে সবের মধ্যেও আমরা গাইডলাইন মেনে কাজ করেছি এবং উইথ জ়িরো কোভিড কেস। সেটাও একটা বড় পাওনা।
প্র: ওয়েব প্ল্যাটফর্ম আপনার কাছে নতুন নয়। কিন্তু এই প্ল্যাটফর্ম কি একজন অভিনেতার কাছে খুব সন্তুষ্টির জায়গা?
উ: আমি কিন্তু অনেক দিন আগে থেকেই ওয়েবে কাজ করছি। ২০১৪ সালে নেটফ্লিক্স সিরিজ় ‘সেনসএইট’-এ কাজ করেছিলাম। ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ভিউয়ারশিপের কাঠামো অন্য রকম। একবার মেম্বার হয়ে গেলে, বিভিন্ন ধরনের শো দেখতে থাকেন দর্শক। তাই আমি খুব আশাবাদী যে, এই প্ল্যাটফর্ম অনেক দিন স্থায়ী হবে। দিনে দিনে সেই বিশ্বাসের ভিত আরও পোক্ত হচ্ছে।
প্র: লন্ডনে থেকে ভারতকে কতটা মিস করেন?
উ: মা-বাবা, আমার অনেক প্রিয় বন্ধুও ভারতে থাকে। এ ছাড়া মুম্বই আমার খুব কাছের জায়গা। গোয়াতে আমার একটা বাড়ি আছে, ভারতে এলে ওখানে গিয়ে থাকি। লন্ডনে অনেক ভারতীয় থাকেন, সেটা খুব ভাল লাগে। তবে করোনার জন্য সব কিছুই পালটে গেল। তাই খুব চিন্তা হয়।
প্র: দু’ দশকের উপরে কেরিয়ারে কোনও আফসোস রয়েছে?
উ: একটা বড় আফসোস হল, ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে না পারা। ভাগ্য আর ঠিক চরিত্র নির্বাচনের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে সফল হওয়ার পিছনে।
প্র: প্রথমে ‘টাইপরাইটার’-এ অভিনয় করেছেন, এখন আবার ‘ব্লাইন্ড’-এ কাজ করছেন সুজয় ঘোষের সঙ্গে। কেমন লাগছে ওঁর সঙ্গে কাজ করে?
উ: সুজয়ের সঙ্গে ‘টাইপরাইটার’-এ কাজ করার অনুভূতিটা আমার কাছে খুব স্পেশাল। ‘বব বিশ্বাস’-এও ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছি। আর ‘ব্লাইন্ড’-এ সুজয় প্রযোজক। ভীষণ প্রতিভাবান পরিচালক ও। ওর সঙ্গে কাজ করে এত ভাল লেগেছে যে, পুরোদস্তুর বাংলা ছবিতে সুযোগ পেলেও অভিনয় করব।