ইয়ামি গৌতম।
প্র: আপনার কেরিয়ারে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছবি ‘আ থার্সডে’। বলতে গেলে আপনার কাঁধেই ছবির দায়িত্ব ছিল...
উ: এ ছবির চরিত্র নয়না আমার কেরিয়ারের অন্যতম কঠিন চরিত্র। প্রথম বার চিত্রনাট্য পড়ে মনে হয়েছিল, এই গল্পটা বলা দরকার। আর নতুন কিছু করতে গেলে তো সব সময়ে একটা আলাদা উত্তেজনা হয়।
প্র: ছবিতে ১৬জন বাচ্চা ছিল। কেমন লেগেছে ওদের সঙ্গে কাজ করতে?
উ: আজকালকার বাচ্চারা ভীষণ স্মার্ট। এক-একটা বাচ্চা যেন একাই দশ জনের সমান (হেসে)। চরিত্রের কথা মাথায় রেখে প্রথমে ভেবেছিলাম, ওদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখব। কিন্তু সে কী হয়? সেটে যাওয়া মাত্রই ওরা আমার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ল। আমরা খুব মজা করেছি শুটিংয়ের সময়।
প্র: ‘কাবিল’, ‘উরি’, ‘বালা’র মতো ছবিতে অভিনয় আপনার কেরিয়ারে কতটা অক্সিজেন জুগিয়েছে?
উ: ২০১৯ এর পরে ২০২১ সালও আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ বছর। গত বছর আমি ছ’টা ছবির কাজ শেষ করেছি। আর প্রত্যেকটা ফিল্ম একে অপরের থেকে একদম আলাদা। ভাল চরিত্র তখনই পাওয়া সম্ভব যখন সেটা খুব যত্ন নিয়ে লেখা হয়েছে। আমি এটা ভেবে খুব খুশি যে, আমার কথা ভেবে এখন চরিত্র লেখা হচ্ছে। একজন অভিনেতা হিসেবে আমার দুটো লক্ষ্য থাকে, ভাল অভিনয় করা আর দর্শক যেন সিট ছেড়ে উঠে না যান।
প্র: স্বামী আদিত্যর (ধর) পরিচালনায় ফের কবে কাজ করবেন?
উ: সেটা আমিও জানতে চাই। এই মুহূর্তে আদিত্য অনেক কাজের মধ্যে ডুবে আছে। একজন পরিচালকের পাশাপাশি ও একজন স্ক্রিপ্ট রাইটারও। খুব তাড়াতাড়ি আদিত্য ওঁর নতুন কাজ ঘোষণা করবে। ফিল্ম নিয়ে ভীষণ প্যাশনেট ও। নিজের ফিল্মকে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে ও।
প্র: বিবাহিত জীবন কেমন কাটছে?
উ: আমি আমারটুকু বলতে পারি, বাকিটা আদিত্য বলতে পারবে (হেসে)। আমরা পরস্পরের কাজকে খুব সম্মান করি। অবসর সময়ে রান্না করতে ভালবাসি। হাসি-ঠাট্টার মধ্য দিয়েই এখন সময়ে কাটছে।
প্র: বাংলার সঙ্গেও আপনার সম্পর্ক রয়েছে। সুজিত সরকার, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ছবিতে আপনি অভিনয় করেছেন...
উ: একদমই ঠিক। সুজিত সরকারের মতো পরিচালকের ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কেরিয়ার শুরু করাটা আমার কাছে বিরাট অভিজ্ঞতা। টনিদারও (অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী) আমি বিরাট ভক্ত। উনি আমাকে যে ভাবে কলকাতা দেখিয়েছেন, তা কোনও দিন ভুলব না। জুলাই মাসের গরমে কলকাতায় শুটিং করেছি। আর এখানকার চা আমার ফেভারিট, প্রথম যে দিন খেয়েছিলাম শেষ করতে ইচ্ছেই করছিল না।