কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে কথা বললেন ববি দেওল
Bobby Deol

Bobby Deol: ‘শাহরুখ ফোন করে আমার কাজের প্রশংসা করেছিল’

‘বাদল’ ছবিটার সময়ে যখন চুল ছোট করলাম, তখন বুঝেছিলাম আমার কার্লি চুলের অনেক ফ্যান। চরিত্র অনুসারে লুক পাল্টানো আমার কাজের মধ্যে পড়ে। লুক ভুলে গেলেও দর্শক কিন্তু অভিনয় মনে রাখেন।

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:০৩
Share:

ববি

প্র: বড় পর্দায় নায়ক, কিন্তু ওয়েবে আপনি নেগেটিভ চরিত্রে...

Advertisement

উ: আমি আমজাদ খান আর অমরীশ পুরীর খুব বড় ভক্ত। ‘শোলে’র পরে আমজাদ খান জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন। তবে দু’ধরনের চরিত্রে অভিনয়ই আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং। ‘আশ্রম’-এ সেরা খলচরিত্রটা করেছিলাম। এ বার ‘লাভ হস্টেল’-এ আমাকে এমন চরিত্রে দেখা যাবে, যেটা কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না।

প্র: ‘ক্লাস অব ৮৩’র পরে শাহরুখ ও গৌরীর খানের প্রযোজনায় ‘লাভ হস্টেল’ আপনার দ্বিতীয় কাজ...

Advertisement

উ: ‘ক্লাস অব ৮৩’-তে অভিনয় করার পরে শাহরুখ আমাকে ফোন করে খুব প্রশংসা করেছিল। একজন সুপারস্টারের কাছ থেকে এতটা সম্মান পেয়ে সত্যিই খুব ভাল লেগেছিল।

প্র: ছবির চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলুন...

উ: সেটা নাহয় পর্দায় দেখবেন (হেসে)। তবে এটুকু বলব, আমাকে প্রথম যখন চিত্রনাট্য শোনানো হয়, ভাল লাগেনি। কিছু দিন পরে পরিচালক শঙ্কর রামন অন্য একটি স্ক্রিপ্ট শোনান, যা আমার পছন্দ হয়। এই ছবির জন্য চরিত্রের লুক এবং ভাষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তাই আমাকে হরিয়ানভি শিখতে হয়েছে। লুকের জন্য তিন মাস ধরে দাড়ি বড় করেছি। প্রস্থেটিক মেকআপও করতে হয়েছিল, নাকের ক্ষত দেখানোর জন্য।

প্র: নতুন লুকের জন্য কেমন প্রতিক্রিয়া পেলেন?

উ: পরিবার এবং বন্ধুরা ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তবে সবচেয়ে ভাল ফিডব্যাক বাবার (ধর্মেন্দ্র) কাছ থেকে পেয়েছি। বলেছেন, এ রকম ভাবেই আমি যেন পরিশ্রম করি আর দর্শকের মনোরঞ্জন করে যাই।

প্র: নব্বইয়ের দশকে আপনার লম্বা চুলের কিন্তু অনেক ভক্ত ছিল। মনে পড়ে সে সব কথা?

উ: তখন অতটাও বুঝতে পারতাম না। ‘বাদল’ ছবিটার সময়ে যখন চুল ছোট করলাম, তখন বুঝেছিলাম আমার কার্লি চুলের অনেক ফ্যান। চরিত্র অনুসারে লুক পাল্টানো আমার কাজের মধ্যে পড়ে। লুক ভুলে গেলেও দর্শক কিন্তু অভিনয় মনে রাখেন।

প্র: কেরিয়ারের দ্বিতীয় পর্যায়ের এই সাফল্য কী ভাবে উপভোগ করছেন?

উ: আমরা খুব সাধারণ মানুষ। বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দিতে বা রেস্তরাঁয় খেতে যেতে ভালবাসি। আমার দাম্পত্য জীবন আর কেরিয়ার একই সঙ্গে শুরু হয়েছে। আমার স্ত্রী তানিয়া সব সময়ে উৎসাহ দিয়েছে, যাতে আরও ভাল কাজ করতে পারি। আমি যে আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি, তার পিছনে ওর অনেক অবদান রয়েছে।

প্র: আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনাকে বেশ অ্যাক্টিভ দেখা যায়...

উ: বাবা আমার চেয়ে বেশি অ্যাক্টিভ সোশ্যাল মিডিয়ায়! খুব সুন্দর ছবি আর ভিডিয়ো পোস্ট করেন। আমি এখনও অতটা অ্যাক্টিভ নই। বড় ছেলের উৎসাহে কিছু রিল পোস্ট করি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যানদের রিঅ্যাকশন জানতে ভালই লাগে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement