‘গত পাঁচ বছর ধরে আমাকে বিয়ের জন্য বলে বলে মা ক্লান্ত’

একটা সময়ে মনে হয়েছিল, পারব না। আমাকে বলা হয়, ছবিটা করতে গেলে বাইক চালাতেই হবে। তখন চ্যালেঞ্জটা নিয়েই নিলাম।

Advertisement

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ০০:০১
Share:

তনুশ্রী

প্র: অনেক রোগা হয়ে গিয়েছেন তো!

Advertisement

উ: হ্যাঁ, মাঝে ওজন বেশ বেড়ে গিয়েছিল। এ বার সামলাতে হতো। তা ছাড়া ‘কাট-মুণ্ডু টু’-এর জন্য রাজদা (চক্রবর্তী) বলল, রোগা হতে। ছবি হয়নি, তবে আমি প্রসেসটা শুরু করে দিয়েছিলাম।

প্র: ‘দুর্গা সহায়’-এর পর ‘আলেয়া’ আপনার দ্বিতীয় নারীকেন্দ্রিক ছবি...

Advertisement

উ: হ্যাঁ। তবে ‘দুর্গা সহায়’-এর চেয়ে ‘আলেয়া’ অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। রাফ অ্যান্ড টাফ পুলিশের চরিত্র। তার জন্য বাইক চালানো শিখতে হয়েছিল। দেড় মাস ধরে ট্রেনিং নিয়েছি। কত বার যে পড়তে পড়তে বেঁচেছি ঠিক নেই! আমি কোনও দিন সাইকেল পর্যন্ত চালাইনি। সেখানে বাইক চালানো কতটা কঠিন ভাবতে পারছেন! একটা সময়ে মনে হয়েছিল, পারব না। আমাকে বলা হয়, ছবিটা করতে গেলে বাইক চালাতেই হবে। তখন চ্যালেঞ্জটা নিয়েই নিলাম।

প্র: প্রথম সারির অনেক পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন আগে। এখন হঠাৎ তাতে ছেদ প়ড়ল কেন?

উ: যাঁর মনে হবে, আমাকে কোনও চরিত্রে মানাচ্ছে, তিনি নিশ্চয়ই বলবেন। কৌশিকদা (গঙ্গোপাধ্যায়) বা কমলদার (মুখোপাধ্যায়) সঙ্গে পরে আবার অবশ্যই কাজ করব। ‘দুর্গা সহায়’-এর পর অরিন্দমদার (শীল) সঙ্গে আর একটা ছবি করছি। আমি আর সোহিনী থাকব হয়তো।

প্র: সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করবেন না?

উ: অবশ্যই করব। সৃজিত নিশ্চয়ই আমাকে ভাল চরিত্রের প্রস্তাব দেবে। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা মিটে গিয়েছে। পরিবারে একসঙ্গে ঘটিবাটি থাকলে ঠোকাঠুকি লাগবেই।

প্র: নিজের কেরিয়ার নিয়ে খুশি?

উ: কাজ নিয়ে আমি কোনও দিন সন্তুষ্ট হব না। ভাল চরিত্র, ভাল চিত্রনাট্যের খিদে আমার সব সময়েই থাকবে।

প্র: অনেক দিন ধরেই আপনি কমিটেড। কিন্তু সে কথা প্রকাশ্যে বলেন না কেন?

উ: ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ নই। কারও সামনে সেটা তুলে ধরতে চাই না।

প্র: বাড়িতে বিয়ের জন্য বলছে না?

উ: বাড়ির লোকের কথা ছাড়ুন তো। মা গত পাঁচ বছর ধরে আমাকে বিয়ের জন্য বলে বলে ক্লান্ত! আরে, নিজের মতো আছি, ভাল আছি। আমি উড়তা পঞ্ছি... (জোরে হাসি)

প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে আপনাদের একটা গার্ল গ্যাং ছিল। সেটা তো আর বোধহয় সক্রিয় নয়?

উ: সে রকম কিছু নয়। আমার সঙ্গে সকলের যোগাযোগ আছে। কিছু দিন আগে আমি নুসরতের বাড়িতে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করলাম। আমরা দু’জনে একসঙ্গে বে়ড়াতে যাচ্ছি। আসলে আগে সময় করে সকলে মিলে বসা হতো। এখন আর সেটা হয় না। আলাদা আলাদা হয় এখন।

প্র: সকলের মধ্যে সদ্বভাব নেই বলেই কি আলাদা আলাদা বসা হয়?

উ: বাকিদের কথা বলতে পারব না। আমার সঙ্গে কারও কোনও সমস্যা নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement