অবন্তিকা বিশ্বাস।
ইতিমধ্যে নিশ্চই ধারাবাহিকের অফার এসেছে?
হ্যাঁ এসেছে। কিন্তু করছি না।
তা হলে ছবি করছ তো?
ছবি করতে পারি। তবে পুরো ফাইনাল হলে জানাব। আমি ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। আগে পড়াশোনা শেষ করি তারপর অভিনয়। ওটা তো থাকবেই। আসলে বাবা-মা বলে পড়াশোনা শেষ করে তারপর অভিনয়ে আসতে।
তুমি কি বাবা-মায়ের বাধ্য মেয়ে?
একদম। আমার কেরিয়ারের সিদ্ধান্ত, এত বড় ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম একটা প্রযোজনার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়া— সব ক্ষেত্রেই বাবা-মায়ের অভিজ্ঞতা, পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে চলি আমি।
আর কেউ আছে যে তোমায় পড়াশোনায় মন দিতে বলে?
উজানদা। উজানদা সবসময় বলে, আগে নিজের ভিত শক্ত কর তারপর সব হবে। শুধু পড়াশোনা নয়। অভিনয়ের ক্ষেত্রেও উজানদা আমায় সাহায্য করেছে। আমাদের প্রথমেই একটা লাভ মেকিং সিন ছিল। আমি তো ভাবছি কী করব? কেমন করে করব? কিন্তু উজানদা দাদা হয়েও অনেক সহজ করে দিয়েছে। আশা করি উতরে গেছি।
বলি অভিনেতা ভিকি কৌশলকে খুব পছন্দ অবন্তিকার।
'রসগোল্লা'-র ট্রেলর লঞ্চের পর সোশ্যাল মিডিয়াকে কিন্তু তুমি উজানের চেয়ে অনেক বেশি ব্যবহার করছ...
বুঝেছি। আমি ইনস্টাগ্রামে খুব অ্যাক্টিভ। এই যে 'রসগোল্লা'-র ট্রেলর এক নম্বর ট্রেন্ডিং-এ এল আমি উজানদাকে ফোন করে জানাই। উফ'! কী যে আনন্দ হয়েছিল।
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
'রসগোল্লা'-র নায়িকা হওয়ার জন্য তো দেড় বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। সেই অপেক্ষা কতটা মজার ছিল?
সে কয়েকটা দিন গিয়েছে। একবার তো উইন্ডোজ থেকে বাদও দেওয়া হয়েছিল। আবার ডাকা হল। আমার মনে আছে পাভেলদা শুধু উৎসাহ দিয়ে যেত, বলত, ‘তুই আছিস’। আবার লম্বা অপেক্ষা, আবার পাভেলদার ফোন, ‘তুই আছিস’। এই করতে করতে একদিন বলল, ‘তুই সিলেক্টেড’। আমি পাঁচ মিনিট চুপ করেছিলাম।
প্রস্তুতি কেমন ছিল?
পাভেলদা যা যা বলেছে আমি ঠিক তাই করার চেষ্টা করেছি। আমাকে আর উজানদাকে কত যে ছুটিয়েছে। উজানদার তো পা কেটে গিয়েছিল।
উইন্ডোজ থেকে বাদও দেওয়া হয়েছিল অবন্তিকাকে, বলছিলেন অভিনেত্রী।
শোনা যাচ্ছে উজান নাকি এক উঠতি ক্রিকেটারের চরিত্রে আবার অভিনয় করবে। আপনি উজানকে কোন চরিত্রে দেখতে চান?
উঠতি ক্রিকেটারের চরিত্রে অভিনয় করবে, এটা বোধহয় গসিপ। উজানদাই বলেছে। তবে আমি উজানদাকে ব্যোমকেশ হিসেবে পেতে চাই।
ফেলুদা নয় কেন?
নাহ ফেলুদা নয়। কারণ ব্যোমকেশের সত্যবতী আমি করব...
আরও পড়ুন: আমাদের প্রজন্মের প্রেম যাদবপুরের ক্যাম্পাসের মতো: উজান
বাহ! দিব্যি কথা বলতে শিখে গিয়েছেন তো!
সত্যি সত্যবতী আর ব্যোমকেশ হলে কী ভাল হবে।
আপনি কী জানেন চাইলে সব হয় না? ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েদের লড়াই অনেক বেশি?
জানি, বাবা বলেছে। নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে যে কোনও বাধা পেরিয়ে যেতে পারি।
টলিউডের প্রিয় অভিনেতা কারা?
ঋত্বিকদাকে খুব ভাল লাগে। আর অপা মাসি। এ ছাড়া বিদ্যা বালন, কঙ্গনা রানাউত। আর ভিকি কৌশল হল বেস্ট। দারুন!
আরও পড়ুন: মুভি রিভিউ ‘জেনারেশন আমি’: সম্ভাবনার বীজ থাকলেও মন ভরায় না
স্কুলে কটা প্রপোজাল পেয়েছেন?
পেয়েছি। তবে লোকে আমায় ভয় পায়। সবাই জানে কেউ প্রপোজ করতে এলে আমার পছন্দ না হলে তাকে মারধর শুরু করে দিতে পারি।
যে কথাটা বললেন না, সেটা বলি এ বার?
নিশ্চয়।
আপনি ভিকি কৌশলের মতো নবীনচন্দ্র দাসের প্রেমে পড়েছেন?
উজানদা আমার দাদা। আমরা যখন প্রেমের দৃশ্য করেছি, উজানদা ভীষণ মজা করত, যাতে আমরা সহজ হই। কিন্তু নবীনচন্দ্র দাসের কথা জেনে প্রেমে পড়ে গিয়েছি। আমার স্বপ্নের পুরুষ। বউয়ের জন্য এত ভালবাসা! বউয়ের জন্য তার জগত। বউয়ের কথা শোনা। এত প্রশ্নহীন কমিটেড প্রেম ভাবা যায় না।