Rajeev Khandelwal

‘ইন্ডাস্ট্রি আমাকে যত কম ব্যবহার করে, ততই ভাল’

কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে এটাই উপলব্ধি রাজীব খাণ্ডেলওয়ালের। ‘নকশালবাড়ি’ সিরিজ়ের শুটিং হয়েছিল গোয়ায়, লকডাউন চলাকালীন। ভূমিপুত্রদের সঙ্গে শিল্পপতিদের চিরকালীন বিরোধ ও তাতে প্রশাসন এবং পুলিশের ভূমিকার টানাপড়েন নিয়ে সাজানো হয়েছে চিত্রনাট্য।

Advertisement

সায়নী ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ০০:০১
Share:

রাজীব।

নকশালবাড়ি নিয়ে লকডাউনে তৈরি হয়েছে ওয়েব সিরিজ়, যা মুক্তি পেতে চলেছে শিগগিরই। সিরিজ়ের মুখ্য ভূমিকায় রাজীব খাণ্ডেলওয়াল, এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে। এ বছরেরই শুরুর দিকে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কোর্ট মার্শাল’-এর পরে আরও একবার পর্দায় তিনি আইনের রক্ষক। বছর পনেরো আগে ‘লেফট রাইট লেফট’-এর ক্যাপ্টেন রাজবীরকে কি ফের একই ধরনের চরিত্রে দেখা যাবে? ‘‘এক সময়ে আমায় লোকে বলত, আমি নাকি রোম্যান্টিক ইমেজ ভেঙে বেরোতেই পারছি না। ‘আমির’ ছবির পরে সে ধারণাটা ভেঙেছিল। আমি বরাবরই টাইপকাস্ট হওয়ার বিরোধী। শিগগিরই একটা ডার্ক কমেডিতে একেবারে অন্য রকম চরিত্রে আমায় দেখতে পাবেন দর্শক।’’

Advertisement

‘নকশালবাড়ি’ সিরিজ়ের শুটিং হয়েছিল গোয়ায়, লকডাউন চলাকালীন। যদিও আসল নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে এ কাহিনির তেমন মিল নেই। ভূমিপুত্রদের সঙ্গে শিল্পপতিদের চিরকালীন বিরোধ ও তাতে প্রশাসন এবং পুলিশের ভূমিকার টানাপড়েন নিয়ে সাজানো হয়েছে চিত্রনাট্য। অতিমারির প্রথম দিকে গোয়ার বাড়িতে কাটানোর পরপরই জুলাই থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন রাজীব। লকডাউনে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘অনেকে তো এখনও কাজে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। আমি অবশ্য এ ব্যাপারে একটু বেশিই সাহস দেখিয়ে ফেলেছি। আমার স্ত্রী অভিযোগ করে বলেছিল, ‘শুটিং না করলে কি তুমি খেতে পাবে না?’ ওর কথা শুনিনি। গোয়ায় শুটিং চলাকালীন আমরা মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, খাবারের সময়ে কড়াকড়ি— সবই মেনে চলছিলাম। ওই অবস্থাতেই প্রচুর অ্যাকশন দৃশ্যের শুট হয়েছে। শুটিংয়ে আমাদের একে অন্যকে চিনতে অসুবিধে হত মাস্কে মুখ ঢাকা থাকায়। সে এক অভিজ্ঞতা বটে!’’

তাঁর ডেবিউ ছবি ‘আমির’ প্রশংসিত হলেও পরের ছবিগুলি সে ভাবে সাড়া জাগাতে পারেনি। ইন্ডাস্ট্রি কি রাজীবকে ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারেনি? ‘‘যত কম ব্যবহার করে, ততই ভাল,’’ হেসে জবাব দিলেন রাজীব। জানালেন, কম কাজ করা তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল। ‘‘১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছি। এখনও নিজেকে নবাগতই ভাবি। এত দিনে যদি সে ভাবে আমাকে ব্যবহার না করা হয়ে থাকে, সেটা এক দিক থেকে ভাল। কারণ, তার মানে আমার আরও কিছু দেওয়া বাকি রয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

তাঁকে এখনও ক্যাপ্টেন রাজবীর কিংবা ‘কহিঁ তো হোগা’র সুজল হিসেবে মনে রেখেছেন দর্শক, সেটা আনন্দই দেয় অভিনেতাকে। ‘‘আমরা এক বছর আগের সিনেমা-সিরিয়ালের চরিত্রের নামই মনে রাখি না এখন। সেখানে এত বছর আগের নামগুলো যে মানুষ মনে রেখেছে, সেখানেই ধারাবাহিকগুলির সার্থকতা।’’ পেশার পাশাপাশি বেড়াতে যাওয়ার নেশা ও পরিবারকে সময় দেওয়াকেও সমান গুরুত্ব দেন রাজীব। ছোট পর্দার ডেলি সোপের চাপ এক সময়ে অসহনীয় মনে হওয়ায় তা ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তী কালে বিভিন্ন শো-এর সঞ্চালক হিসেবে বেশি দেখা গিয়েছে তাঁকে। এখন ওয়েব প্ল্যাটফর্মকে এক্সপ্লোর করতে চান চুটিয়ে। ‘‘এ দেশে ওয়েব জনপ্রিয় হওয়ার সময় থেকেই আমি কাজ করছি এই প্ল্যাটফর্মে। কারণ, বিনোদনের মাধ্যম বলতে তো এই মুহূর্তে শুধু টিভি আর ওয়েবই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement