প্র: আপনার অনুরাগীর সংখ্যা তো নেহাত কম নয়। তাঁদের প্রত্যাশার চাপ অনুভব করেন?
উ: আমি কিন্তু চাপ নিতে ভালবাসি (হাসি)। অল্ট বালাজির ‘ম্যায় হিরো বোল রহা হুঁ’ সিরিজ়ে এমন সব সংলাপ বলতে হয়েছে, এক বার মনে হয়েছিল, বাস্তবে কি আদৌ কেউ এ ভাবে কথা বলে! নিজেকে ক্রমাগত পুশ করেছি। আমার কাস্টিং নিয়ে কেউ যেন প্রশ্ন না তোলেন, সেই চেষ্টা করেছি।
প্র: সিরিজ়ে আপনার চরিত্রটি কি গ্যাংস্টার আবু সালেমের ছায়ায় লেখা?
উ: না। এই সিরিজ়ের গল্প আশি-নব্বইয়ের দশকের মুম্বই নিয়ে। ওই সময়ের অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনার আভাস থাকবে। আমার চরিত্রের নাম নবাব, যার আন্ডারওয়ার্ল্ড আর রুপোলি জগতের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
প্র: এই চরিত্রের জন্য নাকি ধূমপান শুরু করেছিলেন। সেই অভ্যেস কি ছাড়তে পেরেছেন?
উ: এর আগে আমি কোনও দিন স্মোক করিনি। কিন্তু চরিত্রের খাতিরে করতেই হত। যে দিন সিরিজ়ের শেষ শট দিয়েছি, সে দিন শেষ সিগারেট হাতে নিয়েছিলাম। ছাড়তে কষ্ট হয়েছে, কিন্তু ছেড়েছি।
প্র: গত বছর লকডাউন ওঠার পরে নতুন ‘কসৌটি জ়িন্দেগি কে’ ধারাবাহিকের শুটিং করতে গিয়ে করোনায় সংক্রমিত হলেন আপনি। অতিমারি পরিস্থিতিতে শুট করা কতটা কঠিন ছিল?
উ: ওই পরিবেশে প্রাণ খুলে কাজ করতে কারও ভাল লাগে না। সাহস করেই সেটে ফিরেছিলাম। নিজে পজ়িটিভ থাকতাম, অন্যদের সাহস জোগাতাম। তবে এক বছর পরে আমরা আবার সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি।
প্র: ওই ধারাবাহিকের কাজ কেন ছাড়লেন?
উ: ধারাবাহিকের কাজ একটা সময়ের পরে একঘেয়ে হয়ে যায়। ছাড়তে বাধ্য হই। কিন্তু নিন্দুকদের জানিয়ে দিতে চাই, আমার আর একতার (কপূর) সম্পর্ক ঠিক রয়েছে। অল ইজ় ওয়েল। একতাই আমাকে এই সিরিজ়ের লিড চরিত্রের প্রস্তাব দেন। আমার অনুরাগীরা আমাকে কতটা ভালবাসেন, সেটা একতা জানেন। প্রযোজক হিসেবে একতা খুবই পরিশ্রমী। যাঁরা ওঁর সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁরা ভালমতোই জানেন।
প্র: এখনকার দিনে ট্রোল সামলানোও একটা কঠিন কাজ। সেই ধৈর্য রাখেন কী ভাবে?
উ: আমি একজন অভিনেতা, যার নাম পার্থ সমথান। এটাই আমার একমাত্র পরিচয়। আমি সেটা বিশ্বাস করি। তাই ট্রোল আমাকে বিচলিত করে না।
প্র: আলিয়া ভট্টের বিপরীতে বড় পর্দায় কাজ করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। কতটা উৎসাহী এই বিষয়ে?
উ: কার সঙ্গে করছি সেটা নিয়ে এখন মন্তব্য করতে চাই না। তবে লকডাউন শেষ হলেই, আমি ছবির কাজ শুরু করব। প্রি-প্রোডাকশন চলছে এখন।
প্র: তা হলে টেলিভিশনে এখন ফিরবেন না?
উ: এখন আমার ফোকাস ছবি আর ওয়েব সিরিজ়।