মোনা।
প্র: দীর্ঘ দিন পরে ফের টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাবে আপনাকে...
উ: এটাকে ঠিক কামব্যাক বলতে রাজি নই আমি, কারণ টেলিভিশন ছেড়ে কোনও দিনই যাইনি। শো হোস্ট করিনি অনেক দিন হয়ে গেল, সেটা বলতে পারেন। নারীসুরক্ষার এই শো হোস্ট করার প্রস্তাবটা বেশ পছন্দ হয়েছিল। আমাদের আশপাশে কী ঘটে চলেছে, তা মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া দরকার।
প্র: এই ধরনের শো সমাজের উপরে সত্যিই কতটা প্রভাব ফেলে বলে মনে হয় আপনার?
উ: কনটেন্ট ভাল হলে, তা সমাজকে প্রভাবিত করবেই। যেমন, ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর মতো একটা ছবি আমাদের অনেককেই প্রভাবিত করেছে। ‘মওকা-এ-বারদাত’ এমন একটা শো, যেখানে আমাদের সমাজে মেয়েদের প্রকৃত অবস্থার কথা তুলে ধরা হবে। এই শো নারীসুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে।
প্র: সঞ্চালক হিসেবে নিজেকে কত নম্বর দেবেন?
উ: ‘ঝলক দিখলা যা’ দিয়ে যখন সঞ্চালনা শুরু করেছিলাম, তখন সত্যিই জানতাম না আগামী দিনে কী ভাবে তা এগিয়ে নিয়ে যাব। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখানেও নিজস্ব স্টাইলে আলাদা জায়গা তৈরি করতে পেরেছি বলেই মনে করি। অন্যান্য রিয়্যালিটি শোয়ের তুলনায় এই শোয়ের ফ্লেভার একেবারে অন্য রকম। সেই অনুযায়ী উপস্থাপনা করব।
প্র: এই কঠিন সময়ে নিজেকে পজ়িটিভ রাখছেন কী ভাবে?
উ: এমন অনেক দিন গিয়েছে, যখন মন খারাপ করে বসে থেকেছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অবসাদে ভুগেছি। তবে এখন সময়কে যথাযথ ভাবে কাজে লাগাতে শিখে গিয়েছি। রান্না করে, গাছের পরিচর্যা করে অনেকটা সময় কাটে। আর সবচেয়ে কাছের বন্ধু, আমার স্বামীর (শ্যাম রাজাগোপালন) সঙ্গে দারুণ সময় কাটাই।
প্র: আপনাদের বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তো অতিমারি শুরু হয়ে গিয়েছিল...
উ: হ্যাঁ। লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আমাদের হনিমুনে যাওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা একে অন্যের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। শ্যাম দক্ষিণ ভারতীয়, আমি পঞ্জাবি, তাই খাদ্যাভ্যাস একেবারে আলাদা। আমি ওকে অনেক পঞ্জাবি খাবার রেঁধে খাওয়াই। ভাষাটাও শেখানোর চেষ্টা করছি। আমার শাশুড়ি মায়ের কাছে অনেক দক্ষিণী পদও রাঁধতে শিখেছি। সেগুলোও করে খাওয়াই মাঝে মাঝে (হাসি)। জীবনসঙ্গী পাওয়ার ব্যাপারে আমি সত্যিই ভাগ্যবান। এমন একজনকে পেয়েছি, যাকে মনের সব কথা খুলে বলা যায়।
প্র: ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর পরে আমির খানের সঙ্গে ফের ‘লাল সিং চড্ডা’য় কাজ করলেন। এ বারের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
উ: আমির স্যরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সব সময়েই খুব ভাল। সেটে যখন ওঁর সঙ্গে থাকি, সারাক্ষণ মনে হয় প্রচুর প্রশ্ন করি ওঁকে! চণ্ডীগড়ে যখন শুটিং চলছিল ‘লাল সিং...’-এর, সেই সময়ে বিয়ের জন্য অনেক শপিংও করেছিলাম। লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ার পরে আমির স্যর ফোন করে প্রায়ই খোঁজ নিতেন। আগামী অগস্টের মধ্যেই আমার অংশের শুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
প্র: কলকাতার কোন জিনিসটা আপনার সবচেয়ে প্রিয়?
উ: কলকাতায় এখনও প্রচুর অ্যাম্বাসাডর গাড়ি চলে, যেটা আমার খুব প্রিয়। ‘ব্ল্যাক উইডোজ়’ সিরিজ়ের (বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত) শুটিং করার সময়ে অনেক দিনই মাছ-ভাত খেয়েছিলাম। আর কলকাতার মিষ্টির তো কোনও তুলনাই নেই!