প্র: একই বছরে আপনার একাধিক ভিন্ন স্বাদের ছবি মুক্তি পাচ্ছে...
উ: এক জন অভিনেত্রীর জন্য সবচেয়ে ভাল সময় এটা। একের পর এক ছবি মুক্তি পাবে। ‘অর্জুন পাতিয়ালা’ স্পুফ কমেডি ছবি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এমন ছবি কমই হয়। ‘হাউসফুল ফোর’ আবার পুরোদস্তুর কমেডি। তার পরেই ‘পানিপত’। এই ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ আলাদা।
প্র: ‘পানিপত’-এ জ়িনাত আমনের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
উ: উনি তো কিংবদন্তি! ওঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভুলতে পারব না। সেটে বারবার ক্যামেরার পিছনে গিয়ে ওঁর অভিনয় দেখে আসতাম। জ়িনাতজি এখনও এতটা ডেডিকেটেড অভিনেত্রী যে, প্রত্যেকটা শটের পরে পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরকে জিজ্ঞেস করতেন, শট ঠিক আছে কি না। একটাই আফসোস, আমার মা-বাবা জ়িনাত আমনের বিরাট ভক্ত। কিন্তু ওঁদের সেটে নিয়ে যেতে পারিনি, কারণ দু’জনেই তখন শহরের বাইরে ছিলেন। ছবিটার কাজ প্রায় শেষ। ডাবিং বাকি আছে।
প্র: আপনার বোন নূপুরও অভিনয় করতে চান। ওঁকে কী ভাবে গাইড করেন?
উ: নূপুর খুবই সেন্সিবল মেয়ে। ও জানে, ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ ছবি খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকটা সময়ও নিচ্ছে। স্পেশ্যাল একটা কোনও প্রজেক্টের অপেক্ষায় আছে ও। আমিও ওকে সে ভাবেই গাইড করছি।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে এখনও নিজেকে বহিরাগত মনে করেন?
উ: যে ধরনের ছবি বা চরিত্র আমি খুঁজছি, সব সময়ে সেটা পাই না। তখন নিজেকে প্রশ্ন করি, কেন পাচ্ছি না। নিজের সাকসেস রেট বজায় রাখাটা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। প্রত্যেকটা ছবির সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিকে আরও গভীর ভাবে জানা যায়। দি ইন্ডাস্ট্রি ওয়েলকামস ইউ মোর। এখন পার্টিতে আগের চেয়ে একটু বেশি সহজ বোধ করি।
প্র: কেরিয়ারে ভাগ্যের গুরুত্ব মানেন আপনি?
উ: মুম্বইয়ে যখন এসেছিলাম, তখন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিটাই শুধু সঙ্গে ছিল। মা-বাবাকে বলেছিলাম, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু করতে না পারলে জিম্যাট দেব। তেলুগু ছবি করার পরে জিম্যাট দিই এবং ভাল স্কোরও করেছিলাম। তার এখন কোনও দাম নেই অবশ্য! আমি জানি, আমার চেয়ে অনেক বেশি ট্যালেন্টেড কেউ আছে, যে আমার জায়গায় থাকতে পারত। তা সত্ত্বেও নিজের উপরে বিশ্বাস কোনও দিন হারাইনি।
প্র: সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলেবরা সবচেয়ে বেশি ট্রোলড হন। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকেন?
উ: খুব বেশি ভাবি না। একটু অ্যালার্ট থাকি। আর কারও নেগেটিভ মন্তব্য দেখলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ব্লক করে দিই! সোশ্যাল মিডিয়ায় অচেনা লোকে আপনাকে নিয়ে কী লিখছে, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন কী?