পঞ্চম শ্রেণি থেকে জিমন্যাস্টিক। তার পর কলেজের প্রথম বর্ষে হঠাৎই সুযোগ ধারাবাহিকে অভিনয়ের। খেয়ালি মণ্ডল। এক নিমেষে পড়ুয়া থেকে পর্দার জনপ্রিয় নায়িকা। ‘আলতা ফড়িং’ ধারাবাহিকের সৌজন্যে এখন তিনি সকলের 'ফড়িং'। এক টেলিভিশন চ্যানেলের সহায়তায় ‘পশ্চিমবঙ্গ জিমন্যাস্টিক অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজন করেছিল জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতার। বাস্তবের ফড়িংদের সঙ্গে মিশে গেলেন পর্দার ফড়িং। সাক্ষী থাকল আনন্দবাজার অনলাইন।
প্রশ্ন: নায়িকা হওয়া কি আনন্দের ?
খেয়ালি: কোনও অনুষ্ঠানে গেলে... এই যেমন জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতায় এলাম, এখানে সবাই চিনতে পারছে। সেই অনুভূতিটা খুব আনন্দের। কিন্তু কাজের এত চাপ থাকে, কিছু বুঝতেই পারি না। মানুষ আমাকে বুঝিয়ে দেয় যে, আমি নায়িকা হয়ে গিয়েছি।
প্রশ্ন: অভিনয় করার ইচ্ছে কি ছোট থেকেই ছিল?
খেয়ালি: না, তা একেবারেই ছিল না। নাচ অনেক দিন থেকে শিখতাম। ফলে সহজেই অভিনয় সত্তা কাজ করত। সেখান থেকেই জন্মায় অভিনয়ের প্রতি ভালবাসা।
প্রশ্ন: ‘ফড়িং’ চরিত্রের মাঝে নিজের নাম কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়?
খেয়ালি: আমার প্রথম প্রথম বেশ কষ্ট হত। ফ্লোরে সবাই 'ফড়িং' বলে ডাকে। প্রথম প্রথম মনে হত, কেউ এক বার খেয়ালি বলে ডাকুক। যদিও খেয়ালি আর ফড়িং তো একজনই। তবে অবশ্যই কেউ খেয়ালি বলে সম্বোধন করলে বেশি ভাল লাগে।
প্রশ্ন: পরিবারের কেউ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত নন। কখনও কোনও নেতিবাচক কথা শুনেছেন কি?
খেয়ালি: সত্যি বলতে, কারও কথায় কখনও ভেসে যাইনি। বাইরে থেকে অনেক রকম কথা শোনা যায়। কিন্তু কাছ থেকে দেখলে ধারণাগুলো পরিষ্কার হয়ে যায়। মা-বাবা খুব আমাকে এ ব্যাপারে সাহায্যও করেন।
প্রশ্ন: ‘টিআরপি’র ওঠা-পড়া কতটা ভাবায়?
খেয়ালি: না তেমন ভাবে ভাবায় না। প্রথম প্রথম দেখলে একটু ভাবাত। কিন্তু এখন আর তেমনটা হয় না। বুঝতে পেরেছি, নিজের কাজটা করে যেতে হবে।