করিনা।
প্র: সম্প্রতি শর্মিলা ঠাকুর ৭৫তম জন্মদিন পালন করলেন গোটা পরিবারের সঙ্গে। ওঁর কাছ থেকে নিশ্চয়ই অনেক কিছু শিখেছেন...
উ: এলিগেন্স, গ্রেস কী ভাবে বজায় রাখতে হয়, সেটা ওঁর কাছ থেকে শেখার। উনি শুধু ওঁর সময়ের এক সুপারস্টার নন, তার পাশাপাশি সুযোগ্য স্ত্রী, একজন ভাল মা। উনি আমাকে নানা ভাবে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমার তো মনে হয়, এখনকার যুগের মেয়েদের ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
প্র: ‘গুড নিউজ়’ আপনার সঙ্গে অক্ষয় কুমারের চতুর্থ ছবি। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
উ: আমাদের দু’জনের সম্পর্ক ৩০ বছরের। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি যে, অক্ষয়ের কেরিয়ারের বেস্ট ফেজ় চলছে এখন। অনেকটা অমিতাভ বচ্চনের মতো। আর অক্ষয় সেটার যোগ্যও বটে। ও যে পরিমাণ কঠিন পরিশ্রম করে, সেটা অভাবনীয়।
প্র: কমেডি চরিত্রে অভিনয় করাটা কি বেশি কঠিন?
উ: সব সময়েই কঠিন। আর অক্ষয় তো কমেডিতে মাস্টার। ওকে পাল্লা দেওয়াও মুশকিল। আমি ‘গোলমাল’, ‘কভি খুশি কভি গম’, প্রিয়দর্শনের ছবিতে কমিক চরিত্রে কাজ করেছি। ‘জব উই মেট’-এ গীতের চরিত্রতেও কমিক পাঞ্চ ছিল। দর্শক কমিক রোলে আমাকে পছন্দ করেছেন। আর ‘গুড নিউজ়’-এ আমার রোলটা কিন্তু কৌতুকময় নয়। বরং বলা যায়, এটা আসলে সিচুয়েশনাল কমেডি।
প্র: অনেকেরই অভিযোগ, ‘চামেলি’, ‘ওমকারা’র পরে আপনি ছবি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন...
উ: ‘জব উই মেট’-এর পরে যে সব ছবিতে কাজ করেছি, সেগুলো সবই বাণিজ্যিক সীমারেখার মধ্যে। আমার বিয়ের পরে ‘বীরে দি ওয়েডিং’, ‘কী অ্যান্ড কা’ বা এই ‘গুড নিউজ়’ কিন্তু একটু হলেও অন্য ধরনের। ‘তলাশ’-এর পরে কোনও থ্রিলারে কাজ করিনি। ইচ্ছে আছে, একটা ভাল থ্রিলারে কাজ করার। আসলে আমার কাছে সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।
প্র: তৈমুরের সঙ্গে কাটানোর সময়টা নিশ্চয়ই আপনার টু ডু লিস্টের সবচেয়ে উপরে থাকে?
উ: হ্যাঁ। কোনও কাজ নেওয়ার আগে সেটাই প্রধান শর্ত থাকে, যেন তৈমুরের সঙ্গে সময় কাটাতে পারি। তৈমুর অবশ্য সেটেও আসে। কিন্তু ও তো এখন খুব ছোট। তাই আমার আর সেফের সঙ্গ চায়। আমরাও সেটা দেওয়ার চেষ্টা করি। সেফ একজন ভীষণ ভাল বাবা। তৈমুরকে প্রচুর সময় দেয়। আর সমস্যা হল, তৈমুর কাউকে ভয় পায় না। আমি সেফকে বলি, তৈমুর তোমার তৃতীয় সন্তান। এ বার তোমার কড়া হওয়া দরকার। আমি হয়তো হতে পারব না। কারণ তৈমুরের উপরে কড়া হতে গেলে আমার কষ্ট হবে।
প্র: তৈমুর যতটা মিডিয়ার মনোযোগ পায়, সে ব্যাপারে কী বলবেন?
উ: এ ব্যাপারে উৎসাহিত কোনও দিনই ছিলাম না, পরেও হব না। কিন্তু তৈমুর এবং আমাদের সকলকেই মানিয়ে নিতে হয়েছে। কারণ শুধু মাত্র ছবি তোলার ভয়ে আমি তৈমুরের চলাফেরা, জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। তবে হ্যাঁ, এখন এ সব কিছু বোঝেই না ও। শুধু চার পাশে তাকিয়ে তাকিয়ে দ্যাখে (হেসে)।
প্র: সেফকে অভিনেতা হিসেবে কেমন মনে হয় আপনার?
উ: সেফ সাহসী অভিনেতা। ইন্ডাস্ট্রিতে হাজার হাজার সুপারস্টার হবে, কিন্তু সেফ আলি খান একজনই। ২৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পরে ‘সেক্রেড গেমস’-এর মতো সিরিজ়ে যে কাজ করে, তাঁকে আমি সাহসীই বলব। সব সময়ে পুরোটা শুনে নিজের ইচ্ছে মতো সিদ্ধান্ত নেয়। সেফের পরের ওয়েব সিরিজ় ‘তাণ্ডব’-এও ওকে একদম অন্য রূপে দেখা যাবে।
প্র: ‘তখ্ত’ আপনার প্রথম পিরিয়ড পিস। কেমন প্রস্তুতি চলছে?
উ: সামনের এপ্রিল থেকে শুটিং শুরু হবে। আমি তো উদগ্রীব হয়ে আছি। আমার চরিত্র জাহানারা। মুঘল ইতিহাস যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা জানেন জাহানারার ভূমিকা কত বড় ছিল। ভারত ছাড়াও বিদেশে এ ছবির শুটিং হবে।