বললেন ড্যানি ডেনজোংপা। জানালেন, এখন সময়টা বদলে গেলেও তাঁর কাছে কোনও ফারাক হয় না

‘সত্তর-আশির দশকে নিজেদের রিপিট করতাম’

এই মুহূর্তে তিনি সিকিমে। মুম্বইয়ে প্রচণ্ড গরম। অভিনেতা জানালেন, গরম পড়লেই তিনি পাহাড়ে চলে যান। ‘‘এখানে আমার পানীয়ের ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। যার সিজ়নটা এখনই। সে সব কাজের জন্যও এই সময়টা সিকিমেই থাকি,’’ বলছিলেন তিনি। সামনে তাঁর ছবি ‘বায়োস্কোপওয়ালা’র মুক্তি। তার আগে আনন্দ প্লাস-এর সঙ্গে খোশগল্পে ড্যানি ডেনজোংপা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৮ ০০:০১
Share:

ছবিতে ড্যানি

এই মুহূর্তে তিনি সিকিমে। মুম্বইয়ে প্রচণ্ড গরম। অভিনেতা জানালেন, গরম পড়লেই তিনি পাহাড়ে চলে যান। ‘‘এখানে আমার পানীয়ের ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। যার সিজ়নটা এখনই। সে সব কাজের জন্যও এই সময়টা সিকিমেই থাকি,’’ বলছিলেন তিনি। সামনে তাঁর ছবি ‘বায়োস্কোপওয়ালা’র মুক্তি। তার আগে আনন্দ প্লাস-এর সঙ্গে খোশগল্পে ড্যানি ডেনজোংপা।

Advertisement

প্র: ‘বায়োস্কোপওয়ালা’র চরিত্রটা আপনার কেন পছন্দ হল?

উ: গল্পটা আমাকে খুব নস্ট্যালজিক করে দেয়। যখন ছোট ছিলাম, তখন মিস্টার বলরাজ সহানি অভিনীত ‘কাবুলিওয়ালা’ দেখেছিলাম। তা ছাড়া রবীন্দ্রনাথের ‘কাবুলিওয়ালা’ও পড়েছিলাম, অনুবাদে। প্রস্তাব আসায় বেশ খুশিই হয়েছিলাম।

Advertisement

প্র: মূল গল্প থেকে কতটা আলাদা এই ছবি?

উ: মূল গল্পের আত্মাটা ছবিতেও একই আছে। কলকাতার একটা বাচ্চা মেয়ে আর আফগানিস্তানের এক পাঠানের বন্ধুত্বের গল্প ঘিরেই এগিয়েছে ছবির প্লট। আসল গল্পটা তো অনেক আগের সময়ের। ‘বায়োস্কোপওয়ালা’র গল্পের সময়কাল ১৯৮০। তবে বাচ্চা মেয়েটির বড় হওয়ার সময়টা আবার এখনকার প্রেক্ষিতে।

প্র: অনেক দিন পর পর এক-একটা ছবি করেন আপনি। কেন?

উ: এই তো কয়েক বছর আগে ‘বেবি’ করলাম, অক্ষয় কুমারের সঙ্গে। আসলে কী জানেন তো, দর্শককে নিরাশ করতে ভাল লাগে না। এমন কিছু করতে চাই, যেটা আগে কখনও করিনি। বা আগে করে থাকলেও যেন এই বার আরও ভাল করে করতে পারি। সত্তর-আশির দশকে আমরা অনেক ছবি করতাম, নিজেদের রিপিট করতাম... চরিত্রগুলোও চড়াদাগের হতো। এখন সময় অনেক বদলে গিয়েছে। সিনেমার মেকিংয়েও পরিবর্তন এসেছে। গত সাত-আট বছরে চার-পাঁচটাই ছবি করেছি। রজনীকান্তের সঙ্গে ‘রোবট’ (‘এন্থিরান’), সলমনের সঙ্গে ‘জয় হো’, অক্ষয়ের সঙ্গে ‘বেবি’... তার পর এই ছবিটা করছি। এটা মুক্তি পেলে বছরের শেষের দিকে রয়েছে ‘মণিকর্ণিকা’।

প্র: ‘মণিকর্ণিকা’য় আপনার ভূমিকাটা একটু বলবেন?

উ: গুলাম মহম্মদ ঘাউস খানের চরিত্রটা করছি। ঝাঁসির রানির যুদ্ধবাহিনীর সেনাপতি। লক্ষ্মীবাঈ যাকে নিজের বাবার মতো দেখত।

প্র: ইন্ডাস্ট্রির এখনকার সময়ের সঙ্গে তখনকার কী তফাত পান?

উ: তফাত তো রয়েছেই, কিন্তু তাতে আমার কোনও ফারাক হয় না। আসলে আমি তো অভিনয় করি। ব্যাপারটা অনেকটা হর্স রাইডিং বা সাইক্লিংয়ের মতো। এক বার খালি চেপে বসলেই হল!

প্র: ‘মণিকর্ণিকা’য় তো বাঙালি অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তও আছেন। আলাপ হয়েছে?

উ: হ্যাঁ, তা হয়েছে। আমার বেশ ভাল লাগে বাঙালিদের (হাসি)। বাংলা ছবিও। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটকের প্রায় সব ছবিই দেখেছি। আপনাদের মধ্যে তো বোধহয় একটা তর্ক চলে ওঁদের মধ্যে কে বেশি ভাল পরিচালক, তাই না?

প্র: তা চলে!

উ: আমার কিন্তু মনে হয়, সত্যজিৎ রায়ের তুলনায় ঋত্বিক ঘটক কোনও অংশে কম নন। ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’র মতো ছবিতে কোন মাপের কাজ করে গিয়েছেন তিনি! প্রত্যেকটা মনে রেখে দেওয়ার মতো।

প্র: বাংলা ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব পান?

উ: তেমন সাংঘাতিক কিছু না। দুঃখ লাগে যে একটা ‘লাল কুঠি’ কেউ দিল না আমাকে। বা ‘লাল কুঠি’র চেয়েও ভাল কিছু... প্রস্তাব পেলেও বেশির ভাগকেই না বলতে হয়।

অন্তরা মজুমদার

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement