প্রায় এক বছর পর ‘রাঙা বউ’-এর হাত ধরে ছোট পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। ফাইল চিত্র।
প্রায় এক বছর পর ফ্লোরে ফিরলেন শ্রুতি দাস। ‘ত্রিনয়নী’, ‘দেশের মাটির’ পর বেশ কিছু দিনের বিরতি। ‘রাঙা বউ’ হয়ে আবারও ছোট পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আড্ডায় মজলেন নায়িকা।
প্রশ্ন: আনন্দবাজার অনলাইনকেই বলেছিলেন, কাজ না নিয়ে কাটোয়া থেকে ফিরবেন না। যেমনটা ভেবেছিলেন, তেমনটাই হল তা হলে?
শ্রুতি: তাই ফিরেছি। প্রচুর অডিশন দিয়েছি। কিন্তু কাজ পাইনি। সবাইকে বলেছিলাম, লিড হয়েই ফিরব। নায়িকা হয়েই ফিরছি।
প্রশ্ন: সন্তুষ্টি হচ্ছে?
শ্রুতি: হ্যাঁ, হচ্ছে। কারণ আমি সৎ পথে এগিয়েছি। কারও হাত ধরে এগোয়নি। আমার হাত ধরা হয়েছে। আমায় ডেকে আনা হয়েছে। আমি তাতেই খুব খুশি।
প্রশ্ন: কিন্তু সকলে যে বলছেন, সেই প্রেমিক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের হাতই ধরতে হল শ্রুতিকে, কী বলবেন?
শ্রুতি: এই জন্যই তো বললাম, আমি ভাবছিই না এ সব। মানুষের মুখ, তাই তাঁরা তো এ সব বলবেনই। হাত ধরার প্রসঙ্গে একটাই কথা বলব, ‘জি বাংলা’ হাত ধরে ‘ক্রেজি আইডিয়াজ়’-এর হাতে ছেড়ে দিয়েছি। এ বার দায়িত্ব স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের। প্রথম হাত ধরেছে চ্যানেল।
প্রশ্ন: এই ফ্লোরেই নয়ন সেজে হাতেখড়ি হয়েছিল। আবারও একই ফ্লোরে ফিরলেন। যাত্রাটা কেমন?
শ্রুতি: এখন ফিরে তাকালে মনে হয়, চোখ-কান-নাক কম খোলা ছিল। তখনই বেশ ছিলাম। এখন সব কিছু খুলে গিয়েছে, তাই চিত্রগুলো পরিষ্কার। সমাজমাধ্যমে এত মানুষের কথা, ফ্যানপেজ এগুলো ছিল না, কাজটা নিয়েই শুধু ভাবতাম। তার পর সম্পর্কে জড়িয়েছি। বুঝতে পারিনি, এই ইন্ডাস্ট্রিতে সম্পর্কে জড়ালে কটূক্তি শুনতে হয়। এগুলো যে দিন থেকে বুঝতে শিখলাম, তখন থেকে অনেক কিছু ভাবায়। তবে এখন আর কিছুই ভাবছি না কাজ ছাড়া।
প্রশ্ন: এই এক বছরের বিরতি কি মানসিক শক্তি আরও বাড়াল?
শ্রুতি: আমি এই কাজটা পেয়েছি সৎ পথে হেঁটে। সেটাই আমার মানসিক শক্তিকে দ্বিগুণ করে দেয়। আমি কারও দয়ায় কাজটি করছি না। নিশ্চয়ই তাঁরা ভেবেছেন, আমি পারব। তাই কাজটা পেয়েছি।
প্রশ্ন: পুরনো জুটিদের পর্দায় ফেরানোর একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে, গৌরবকে আবারও সহ-অভিনেতা হিসাবে পেয়ে খুশি, না কি নতুন নায়ক আশা করেছিলেন?
শ্রুতি: এমন উদাহরণ যে হেতু কম, সুতরাং বুঝতে হবে আমরা অমূল্য। প্রত্যেকটা মেগাতে যদি পুরনো জুটিদের ফের দেখা যেত, তা হলে বুঝতাম, আমরা আর পাঁচ জনের মতোই। কিন্তু যে হেতু খুব বাছাই করে জুটি পছন্দ করা হয়, আমাদের মধ্যে নিশ্চয়ই কিছু আছে।
প্রশ্ন: মা-বাবা কী বললেন?
শ্রুতি: তাঁরা ভীষণ খুশি। মা-বাবা জানেন, মেয়ে সৎ পথে থেকে কাজ পেয়েছে। তাই বেশ আনন্দিত।