আথিয়া
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে এখন কতটা সহজ হতে পেরেছেন?
উ: একজন অভিনেত্রী হিসেবে এই ছবিতে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছি। ‘মোতিচুর চকনাচুর’-এ আমি বুন্দেলখণ্ডি ভাষায় কথা বলেছি। তার জন্য স্পেশ্যাল ট্রেনিং নিয়েছি। নওয়াজ় স্যারকে (সিদ্দিকি) ফেস করার আগে আমি খুব মন দিয়ে ওয়র্কশপ করেছি। সেটে গিয়ে যাতে নিজের ক্যারেক্টারে আরও মাত্রা যোগ করা যায়। অন স্পট অনেক মুহূর্ত তৈরি করা যায় সহ-অভিনেতার সঙ্গে। এই প্রথম ভোপালে শুটিং করলাম টানা ৪৫ দিন। দারুণ অভিজ্ঞতা।
প্র: আপনি তো ঠাকুমা-ঠাকুরদার সঙ্গে জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হয়েছেন। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন?
উ: আমার ঠাকুরদা-ঠাকুমার কাছ থেকে যা শিখেছি, সেটা হয়তো আমার মা-বাবা শেখাতে পারতেন না। আর যে ভাবে আমার গ্র্যান্ডপেরেন্টস আমাকে ভালবেসেছে, আবদার মিটিয়েছে, সেটা আর কেউ করতে পারবে না। আমি আর আমার ভাই আহান একান্নবর্তী পরিবারে মানুষ হলেও, আমরা কিন্তু খুব স্বতন্ত্র। নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিই। ছবির সেটে কখনওই আমাদের মা-বাবা যায় না।
প্র: আপনার প্রথম ছবি সলমন খানের ব্যানারে। ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ আছে এখন?
উ: অবশ্যই। বিগ বসেই ‘মোতিচুর...’-এর ট্রেলার লঞ্চ হয়েছিল। আমাকে উনি ফোন করে কনগ্র্যাচুলেট করে বলেন, কেরিয়ারে এত তাড়াতাড়ি এ রকম একটা ছবিতে কাজ করছি, সেটা খুব ভাল। আজও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে বা দোটানায় থাকলে সলমন স্যারকেই ফোন করি।
প্র: নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে কাজ করে কী রকম লাগল?
উ: ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত একজন মানুষ। কমিক টাইমিং দারুণ। কম কথা বললেও ভীষণ সেনসিটিভ। ওঁর কাছ থেকে শিখেছি, লেস ইজ় মোর। একজন অনবদ্য অভিনেতা উনি।
প্র: আপনার ভাই আহানও এখন ফিল্মে অভিনয় করছেন....
উ: আহান ছোটবেলা থেকেই অভিনয় করতে ভালবাসত। সলমন খানের গান শুনে শার্ট খুলে নাচত। ওঁর জন্য আমি খুব খুশি। আর আমরা একে অপরকে কখনও উপদেশ দিই না, কারণ প্রত্যেকের জীবনের জার্নি আলাদা। তাই অভিজ্ঞতাও ভিন্ন।
প্র: পরিবারের প্রতি আলাদা ভাবে কোনও দায়িত্ব অনুভব করেন?
উ: প্রত্যেকের মা-বাবাই কোনও না কোনও সময়ে সন্তানের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন। সেটা কখনও ভোলা উচিত নয়। আমি আমার বাবাকে কোনও শুক্রবার বাড়িতে ফিরে ফিল্মের টেনশন নিতে দেখেনি। তবে চাই যে, মা-বাবা যেন আমার জন্য গর্ব অনুভব করেন। আর আমরা দুই ভাইবোন আমাদের মা-বাবার কার্বন কপি। আমি বাবার মতো। আহান মায়ের মতো।
প্র: অনস্ক্রিন বিয়ে তো বারকয়েক করেছেন। জীবনে কিছু প্ল্যান রয়েছে?
উ: বিয়ে নিশ্চয়ই করব, যে দিন যোগ্য জীবনসঙ্গী পাব। বাড়ি থেকে কোনও চাপ নেই। বাবা (সুনীল শেট্টি) পারলে আমাকে সারা জীবন বাড়িতেই রেখে দেন (হেসে)!