অর্জুন।
প্র: এই প্রথম বার ঐতিহাসিক চরিত্রে দেখা যাবে আপনাকে। ‘পানিপত’-এর চরিত্র না কি পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর কোনটা দেখে রাজি হয়েছিলেন?
উ: প্রাথমিক ভাবে গল্প শুনেই রাজি হই। ইতিহাসের পাতায় সদাশিব রাও সম্পর্কে খুব কম কথা বলা হয়েছে। ওঁর সাহসিকতার গল্প, উনি যে ভাবে একজোট হয়ে বাইরের শত্রুদের মোকাবিলা করেছেন, সেটা ক’জন জানে? আমার মতে এই গল্পটা সকলের জানার উচিত।
প্র: প্রস্তুতি পর্ব কতটা কঠিন ছিল?
উ: পরিশ্রম প্রতিটা ছবিতেই করি। ‘পানিপত’-এর জন্য প্রথম বলিদান ছিল আমার চুল। অভিনেতাদের কাছে চুল গয়নার মতো। চুল কাটার পরে পারতপক্ষে আয়নার দিকে তাকাতাম না, পাছে মন খারাপ হয়ে যায়। ঘোড়া চালাতে আগেই জানতাম। কিন্তু এই ছবির জন্য কিছু স্পেশ্যাল ট্রেনিং নেওয়ার দরকার ছিল। দু’মাস টানা ঘোড়ায় চড়া অভ্যেস করেছি। যে ঘোড়ার সঙ্গে শুট করেছি, ওর নাম জবার। কৃতী (শ্যানন) শুনলে রেগে যাবে কিন্তু ওই ঘোড়াটাই ছবিতে আমার আসল কো-স্টার (হাসি)! তার পর মরাঠি ভাষাটা রপ্ত করতে হয়েছিল। এমনিতে আমি মরাঠি বলতে পারি। কিন্তু পারফেক্ট হওয়ার জন্য আরও ভাল করে শিখলাম।
প্র: আশুতোষ গোয়ারিকর বলছেন, উনি আপনাকে মাথায় রেখে সদাশিব রাওয়ের চরিত্রটা লিখেছিলেন...
উ: দু’-এক বার আমার সঙ্গে আশু স্যরের পার্টিতে দেখা হয়েছিল। তখন উনি আমার কাজের প্রশংসা করেছিলেন। আমার প্রত্যেকটা ছবি উনি দেখেছেন। ছবির জন্য আমাকে কতটা মানাবে... ইত্যাদি বিষয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছিলেন। আমার উল্টো দিকে সঞ্জয় দত্ত রয়েছেন। আশু স্যর বলেছিলেন, ‘সঞ্জয়ের সামনে আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দাঁড় করাতে চাই। কোনও যুবককে নয়। তাই ক্যামেরার সামনে নিজেকে অর্জুন না ভেবে সদাশিব রাও ভেবেই সঞ্জয় দত্তের সামনে দাঁড়াবে।’ এই কথাগুলোই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।
প্র: সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কী রকম?
উ: ‘ইশকজ়াদে’ দেখার পরে সঞ্জু স্যর আর মান্যতা ম্যাম আমাকে ডিনারে ডেকেছিলেন। ম্যাম আমাকে একটা কথা বলেছিলেন, যেটা আজও মনে রয়েছে। আমার সঙ্গে সঞ্জু স্যরের জীবনের একটা বড় মিল আছে। ওঁর প্রথম ছবি ‘রকি’ মুক্তি পাওয়ার আগে উনি নিজের মাকে হারিয়েছিলেন। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে একটা কথা বলি, সঞ্জু স্যর আসল জীবনে একদম বাচ্চার মতো।
প্র: সময়ের সঙ্গে কতটা পরিণত হয়েছেন?
উ: সত্যি কথা বলি? ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগেই আমি পরিণত ছিলাম। জীবন আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। কোনও ব্যর্থতা আমাকে ছুঁতে পারে না। আগে হাসতাম কম, কথাও কম বলতাম। সকলে ভাবত আমি অহংকারী। কিন্তু সেটা সত্যি নয়। এখন সময়ের সঙ্গে অনেক সংযত হয়ে গিয়েছি।
প্র: শেষ যখন আপনার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম, তখন বলেছিলেন, মাথায় পুরো চুল না গজালে বিয়ে করবেন না। এখন কী বলবেন?
উ: (হেসে মাথায় হাত দিয়ে) এখনও পুরোপুরি চুল গজায়নি তো।