অদিতি।
হিন্দি ছোট পর্দার ইন্ডাস্ট্রিতে এক দশকেরও বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন অদিতি গুপ্ত। ‘কিস দেশ মেঁ হ্যায় মেরা দিল’ দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অদিতি। এখন ব্যস্ত সোনি টিভির ‘ধড়কন জিন্দেগি কী’র শুটিংয়ে। এই ধারাবাহিকে তিনি চিকিৎসকের ভূমিকায়। বড় পর্দার ইন্ডাস্ট্রিতে গত কয়েক বছরে অনেকটাই বদল এসেছে। ছোট পর্দা কতটা বদলেছে? ‘‘এই মাধ্যমের দর্শকেরা নিজেদের কমফর্ট জ়োন থেকে বেরোতে চান না। তাই অনেক নতুন প্রচেষ্টা শুরু হয়েও তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়,’’ স্পষ্ট জবাব অদিতির।
‘ধড়কন জিন্দেগি কী’তে অভিনয় করার পিছনে অভিনেত্রীর যুক্তি, ‘‘মহিলারা সব ক্ষেত্রেই যে এগিয়ে চলেছেন, সেই রকম দৃষ্টান্ত তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই ধারাবাহিকে। মহিলা চিকিৎসকদের কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়, তা দেখানো হয়েছে। আসলে নারীদের ঘরে-বাইরে দু’রকম লড়াই চালাতে হয়। এই শো দেখে একজন স্বামীও যদি তাঁর মানসিকতা বদলান, সেটাই আমাদের কাছে বড় পাওনা হবে।’’
বছর খানেক আগে বিয়ে করেছেন অদিতি। তাঁর স্বামী ইন্ডাস্ট্রির বাইরের মানুষ। অভিনেত্রী বলছিলেন, ‘‘কবীর (চোপড়া) এই ইন্ডাস্ট্রির বাইরের হলেও আমাকে বোঝে। আমার কাজকে সম্মান করে।’’
অদিতি কি নিজে কোনও দিন ইন্ডাস্ট্রিতে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন? ‘‘প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নেই, কিন্তু অনেক রকমের বৈষম্যই দেখেছি। পুরুষ অভিনেতাদের বড় ভ্যানিটি ভ্যান, অভিনেত্রীকে শটের জন্য অপেক্ষা করিয়ে পুরুষ অভিনেতাকে আগে ছেড়ে দেওয়া...’’
উত্তরপ্রদেশে বড় হওয়া অদিতির পরিবারের সঙ্গে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির কোনও যোগসূত্র ছিল না। তাঁর বাবা-মা চেয়েছিলেন, মেয়ে ডাক্তার হোক। কিন্তু অদিতি নিজের ইচ্ছেকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন। নিজের কেরিয়ার নিয়েও তাঁর কোনও আফসোস নেই। ‘‘অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। নিজের ভুল থেকেই শিখেছি,’’ মন্তব্য অভিনেত্রীর।
অবসর সময়ে ওটিটি-তে ভাল সিনেমা-সিরিজ় দেখেন। কিন্তু এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করা নিয়ে তাঁর অনীহা রয়েছে। কিন্তু কেন? অদিতির জবাব, ‘‘ওটিটিতে যে ধরনের কনটেন্ট থাকে, আমি সেই সব চরিত্রে স্বচ্ছন্দ নই। অনস্ক্রিন কাউকে চুমু খেতে পারব না। তবে এটা ভাববেন না, যে আমি বিবাহিত বলে বোল্ড দৃশ্যে সমস্যা হবে। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’’