সোহিনী। ছবি: নিরুপম দত্ত।
প্র: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনাকে বেশ অন্য রকম লুকে দেখা যাচ্ছে। ইমেজ ভাঙতে চাইছেন?
উ: আমি বরাবরই জিনস, টি-শার্টে স্বচ্ছন্দ। শাড়ি বা অন্য কোনও ট্র্যাডিশনাল পোশাকেও। কিন্তু এ বছর রণজয়ের (বিষ্ণু, সোহিনীর প্রেমিক) জন্মদিন আর এক বন্ধুর ব্যাচেলর পার্টিতে বোল্ড লুক ট্রাই করলাম, যেটা আমার ইমেজ কিছুটা হলেও ভেঙেছে। আসলে অন্য রকম পোশাক পরার ইচ্ছে থেকেই রণজয়ের জন্মদিনটা বেছেছিলাম। আর সেটা দেখে আমার অনেক বন্ধুই স্তম্ভিত (হেসে)!
প্র: ছবিতেও ইমেজ ভাঙতে রাজি?
উ: নতুন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে সব শিল্পীর থাকে। কিন্তু পুরোপুরি কমার্শিয়াল ছবি করতে আমি উৎসাহী নই। ‘বিবাহ অভিযান’ করতে গিয়ে বুঝেছি, সেজেগুজে মিষ্টি নায়িকা হওয়ার অনেক চাপ রয়েছে। বরফের মধ্যে শিফন পরে নাচতে পারব না। কোনও পার্টিতে কিছুক্ষণের জন্য সেজেগুজে গেলাম, আমার জন্য ওটুকুই যথেষ্ট।
প্র: আপনি নাকি ওয়েস্টার্ন ডান্স শিখছেন?
উ: ছোটবেলায় ধ্রুপদী নাচ শিখেছিলাম। গত বছর নতুন কিছু শেখার ইচ্ছে নিয়েই ওয়েস্টার্ন ডান্স শিখতে শুরু করেছি।
প্র: প্রায় এক বছর পরে আপনার ছবি মুক্তি পেল। কেমন লাগছে?
উ: হলে কতজন দর্শক আসবেন, আর এলেও সাহিত্যনির্ভর ছবি ‘এই আমি রেণু’ কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, তা ভেবে বেশ চাপে আছি। ছবিটি তৈরি করতে প্রযোজক যে টাকা খরচ করেছেন, ছবি থেকে তা তুলতে পারবেন কি না, সেটাও চিন্তার বিষয়। টাকা না উঠলে প্রযোজক হয়তো আর দ্বিতীয় ছবি করবেন না, এতে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হবে। তবে ছবি চলা বা না চলার বিষয়টি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। আমার কাজটুকু আমি ভাল ভাবে করেছি। বাকি সব ঠিক থাকলে, ছবিটি নিশ্চয়ই গ্রহণযোগ্য হবে।
প্র: এর মধ্যে হলে গিয়ে ছবি দেখেছেন আপনি?
উ: ‘হীরালাল’-এর প্রিমিয়ারে গিয়েছিলাম। ‘গডজ়িলা ভার্সাস কং’ও দেখলাম সম্প্রতি। হলে ছবি দেখার মজাই আলাদা।
প্র: টলিউডে অনেকেই রাজনীতিতে এসেছেন। আপনার আগ্রহ নেই?
উ: সকলে প্রার্থী হলে ভোট দেবে কে? আমি ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করার জন্য রয়েছি। তা ছাড়া রাজনীতিতে আসার জন্য আমাকে কেউ প্রস্তাবও দেয়নি। দিলেও ফিরিয়ে দিতাম। রাজনীতি আমার জন্য নয়, অভিনয় করেই খুশি। যে কোনও কাজ করতে হলে সেই বিষয়ে জ্ঞান থাকাটা জরুরি। এই যে হঠাৎ করে সকলে রাজনীতিতে চলে যাচ্ছেন, সেই দলের আদর্শ তাঁদের আদৌ অনুপ্রাণিত করে কি? বিষয়টা আমার খুবই গন্ডগোলের লাগে। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য রাজনীতি করতে হয় না। এমন বহু মানুষকে দেখেছি, যাঁরা কোনও বাচ্চার দায়িত্ব নেবেন বলে বা অন্যের পাশে দাঁড়াবেন বলে নিজের স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়েছেন। তাই আমার কাছে এই সব মানুষের মূল্য অনেক বেশি। যাঁরা রাজনীতিতে গিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল।
প্র: আর কী কী ছবির কাজ করছেন?
উ: সামনেই বীরভূম যাচ্ছি ‘কাবাড্ডি কাবাড্ডি’র শুটিংয়ে। ‘সিনেমাওয়ালা’র পরে আবার কৌশিকদার (গঙ্গোপাধ্যায়) সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এ ছাড়া দুটো ওয়েবের কাজ শেষ হল। বাকি কয়েকটি ছবির কথা চূড়ান্ত হলেও টাকা না পাওয়া অবধি তা নিয়ে কথা বলতে চাই না।
প্র: আপনার বন্ধুরা তো অনেকেই বিয়ে করে নিলেন। অর্নিবাণও বিয়ে করলেন। আপনি কবে সেটল করবেন?
উ: বন্ধুরা বিয়ে করছে দেখে আমাকেও দুম করে বিয়ে করে নিতে হবে, আমি সেই দলে পড়ি না। তা ছাড়া আমি তো সেটলড। রণজয় আর আমি বেশ ভাল আছি। কখনও একসঙ্গে থাকি, কখনও যে যার বাড়িতে। এই মুহূর্তে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে আমরা যতটা আগ্রহী, বিয়ে নিয়ে ততটা নই। তবে মনে হলে হঠাৎ কোনও দিন প্ল্যান করে ফেলব।