Esha Deol Divorce

ধর্মেন্দ্র-কন্যা এষাকে শ্বশুরবাড়িতে পোশাক নিয়ে ফতোয়ার মুখে পড়তে হয়েছিল

বিয়ের পর থেকে বরাবরই নাকি স্বামী এবং শাশুড়ির মেজাজ বুঝে চলতে হয়েছে এষাকে। এমনকি, বাড়িতে পোশাক নিয়েও ছিল বিধিনিষেধ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৭
Share:

(বাঁ দিকে) ভরত তখতানি (ডান দিকে) এষা দেওল। ছবি: সংগৃহীত।

হিরে ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে ১২ বছরের দাম্পত্যে ছেদ পড়তে চলেছে এষা দেওলের। আচমকাই তাঁদের বিচ্ছেদের খবর জানান এষা-ভরত। খানিক হতভম্ব তাঁদের অনুরাগীরাও। এষা আর ভরতের সম্পর্কের ওঠানামা কখনওই তেমন প্রকাশ্যে আসেনি। বরং অনেক সাক্ষাৎকারে তাঁদের দু’জনকে একসঙ্গে দেখে যথেষ্ট সুখী দাম্পত্য জীবন যাপন করছেন বলেই মনে হয়েছে। তবে তাঁদের সম্পর্কে ঘুণ ধরতে শুরু করে নাকি দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর থেকে। এষা নিজেই তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁর লেখা বই ‘আম্মা মিয়া: স্টোরিজ়, অ্যাডভাইস অ্যান্ড রেসিপিজ়’-এ। ২০১২ সালে হিরের ব্যবসায়ীকে ভরতকে বিয়ে করে সংসারী হন এষা। এমনিতেই ছোট পরিবারে বেড়ে ওঠা তাঁর। তবে বিয়ের পর বিরাট সংসারে গিয়ে পড়েন। শ্বশুরবাড়িতে সাত ভাইবোনের সংসার। বরাবরই নাকি স্বামী এবং শাশুড়ির মেজাজ বুঝে চলতে হয়েছে ধর্মেন্দ্র-কন্যাকে।এমনকি, বাড়িতে পোশাক নিয়েও ছিল বিধিনিষেধ। শর্টস ও গেঞ্জি পরা নিয়ে আপত্তি ছিল শাশুড়ির।

Advertisement

হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ কন্যা। উচ্চশিক্ষিতা। সিনেমায় কেরিয়ারে সাফল্য আসার আগেই বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয় এষার। তবে সফল স্বাধনীচেতা মহিলা নয়, তাঁর স্বামীর পছন্দ ছিল ‘ঘরোয়া’ মেয়ে। তাই স্বামীর মন বুঝে নানা রকম আদবকায়দা শিখতে হয়েছিল তাঁকে। নিজের বইতে এষা উল্লেখ করেন, ‘‘বিয়ের পর অনেক কিছু বদলে গেল। আমি ওর পরিবারের সঙ্গে থাকতে শুরু করার পর বাড়িতে শর্টস-গেঞ্জি পরা বন্ধ হয়ে গেল। তবে ভরতের পরিবার খুব ভালবাসা দিয়েছে আমাকে।’’

যদিও বিয়ের পর সে ভাবে রান্নাবান্না করতে হয়নি তবে তাঁর শাশুড়ি চাইতেন, বৌমা যাতে সনাতনি আদবকায়দা মেনে চলেন। এষার কথায়, ‘‘আমাকে ওরা খুবই ভালবাসে। বাড়ির বউ না, ছেলের মতোই দেখত আমাকে।’’ বিয়ের পর সব সময়ই স্বামীর প্রশংসা করতেন অভিনেত্রী। এষা জীবনে আসায় তিনি কতটা খুশি, সেটাও নিজের মুখেও জানিয়েছিলেন ভরত। সেই সুখী দাম্পত্যের ছবিতে এমন চিড় ধরেছে, সেটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে অনুরাগীদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement