প্রযোজক-অভিনেত্রী এনা সাহা
বাঁ হাতে বড় বড় হরফে লেখা, ‘টু লার্জ’! অর্থাৎ, বেশ বড়। এনা সাহার ঊর্ধাঙ্গ জুড়ে শুধুই বক্ষ বন্ধনী!
প্রযোজক-অভিনেত্রীর কোমরে পা ছোঁয়া ফুল ছাপের স্কার্ট। শরীরের আনাচে-কানাচে লেখা ভারী চেহারা নিয়ে একটুও ভাবিত নন তিনি। বাড়তি সতর্কতা হিসেবেই যেন হাতে প্ল্যাকার্ড, ‘শরীর নিয়ে কটাক্ষ করেও লাভ নেই। আমি নিজেকে নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী!’ শনিবার শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের পর বুধবার জোরালো ভাবে ‘বডি শেমিং’-এর প্রতিবাদ জানালেন এনা।
অভিনয় দুনিয়ায় যাঁদেরই শরীর ‘সৌন্দর্যের ব্যাকরণ’ মেনে নিখুঁত নয়, তাঁদের ঘিরে ইদানীং নেটাগরিকদের কটাক্ষ, তামাশা চোখে পড়ে। এই তালিকায় রয়েছেন এনাও। বিদ্যা বালনের মতোই তিনিও বাড়তি ওজন নিয়ে নেটাগরিকদের থেকে কম খোঁটা শোনেননি। কম নীতিপুলিশি হয়নি এনার ‘লিপ জব’ নিয়ে। তার পরেও এনা নিজেতেই মত্ত। কাউকে, কোনও কিছুকেই তোয়াক্কা করেন না তিনি।
তারই জ্বলন্ত প্রমাণ জায়গা পেয়েছে এনার ইনস্টাগ্রামে। ভিডিয়োয় বলা কথাই তিনি ফের বলেছেন তাঁর মতামতে। লিখেছেন, ‘নিজেকে সব সময় আত্মবিশ্বাসী রাখুন’। হ্যাশট্যাগে লিখেছেন ‘স্টপ বডি শেমিং’, ‘বি ইওর সেল্ফ’-এর মতো বাক্য। এ হেন প্রতিবাদের পরেও অভিনেত্রীর মন্তব্য বিভাগে কটাক্ষের ঝড়। কানে আঙুল দেওয়ার মতোই অশ্লীল ইঙ্গিত।
আবারও নেটাগরিকদের কটাক্ষ, ওজনটা একটু কমানো যায় না! কেউ মাথা ঘামিয়েছেন এনার পুরু ঠোঁট নিয়ে। ঝরে পড়েছে ব্যঙ্গ, ‘কেন খোদার উপর খোদকারি করতে যান’? কেউ তাঁকে সোজাসুজি বলেছেন, ‘মুটকি’!