Aryan Khan

Shah Rukh Khan: আমাদের সবাই রাক্ষস বলছে, এনসিবি অফিসারকে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন শাহরুখ

সিট অফিসারের কাছে বসে চোখের জলে ভেসেছিলেন শাহরুখ খান। বলেছিলেন তাঁর গোটা পরিবারকে সকলে ‘সন্ত্রাসবাদী’, ‘রাক্ষস’-এর মতো তকমা দিচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২২ ১৫:১৭
Share:

কী কারণে এই হাল কিং খানের?

গোয়েন্দা অফিসারের সামনে বসে খোদ বলিউডের ‘বাদশা’। স্বভাবসিদ্ধ হুল্লোড়ে মেজাজ উধাও। নেই রাজকীয় উপস্থিতিও। ছলছলে চোখে নিজের ও পরিবারের মানসিক দুর্দশার কথা খুলে বলেছিলেন শাহরুখ খান। কিন্তু কী এমন ঘটেছিল কিং খানের সঙ্গে? কেনই বা কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে কথা বলতে হয়েছিল এ ভাবে?

Advertisement

২০২১ সালের শেষ দিক। ছেলে আরিয়ান মাদক-যোগের অভিযোগে গ্রেফতার হতেই নিমেষে খান খান শাহরুখ খানের এত দিনের গরিমা! কাছে ভয়াবহ সময়। সে সময়ে জনরোষের মুখে পড়েছিলেন শাহরুখ-গৌরী। লোকে নাকি তাঁদের ‘রাক্ষস’, ‘নরখাদক’ কিছুই বলতে বাকি রাখেনি! রাতারাতি তাঁরা হয়ে গিয়েছিলেন ‘সমাজশত্রু’। আরিয়ানের বাবা-মায়ের কপালে নাকি জুটে গিয়েছিল ‘সন্ত্রাসবাদী’র তকমাও। সেই কালিমা মুছতে বছর ঘুরে গেল।

প্রমোদতরীর মাদক-কাণ্ডে এক মাস জেল খাটার পরে জামিনে ছাড়া হয় শাহরুখ-পুত্রকে। তাঁকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়েছে সম্প্রতি। তদন্ত চলাকালীন কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হয়েছিল, যার প্রধান ছিলেন সঞ্জয় সিংহ। এই মামলায় শাহরুখ খানের সঙ্গে কথোপকথনের পরে এক সংবাদসংস্থার কাছে ‘বাদশা’র মানসিক অবস্থা তুলে ধরেছিলেন সঞ্জয়ই।

Advertisement

আরিয়ান ঘুমোতে পারছে না রাতে। তার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থাও দ্রুত খারাপ হচ্ছে। শাহরুখ বাবা হয়ে কী ভাবে সে যন্ত্রণা সহ্য করছেন, সে কথা জানিয়েছিলেন সঞ্জয়কে। ছেলেকে মাঝরাতে সঙ্গ দিয়েছিলেন নায়ক। সঞ্জয়ের দাবি, বলতে বলতে চোখে জল এসে যেত কিং খানের। বলেছিলেন, ‘‘লোকে আমাদের রাক্ষস, নরখাদক— এ সব তকমা দিচ্ছে। সমাজশত্রু, সন্ত্রাসবাদী মনে করছে। আমরা নাকি সব কিছু ধ্বংস করতে এসেছি।’’

সঞ্জয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, জেরা-পর্বে শাহরুখ-পুত্রের কিছু কথাও তাঁকে অবাক করেছিল। আরিয়ান নাকি সরাসরি তাঁকে বলেছিলেন, ‘স্যর, আপনি আমার সঙ্গে বড় অন্যায় করেছেন। আমার সুনাম নষ্ট করেছেন। কেন আমাকে এত সপ্তাহ জেলে কাটাতে হয়েছিল? সত্যিই কি আমার এটা প্রাপ্য ছিল?’

২০২১-এর ২ অক্টোবর মুম্বই উপকূলে প্রমোদতরী কর্ডেলিয়া থেকে আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। প্রায় এক মাস জেলে কাটানোর পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে। প্রাথমিক ভাবে মাদক চোরাচালান-চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ তুললেও পরে আরিয়ানের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করে এনসিবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement