nusrat jahan

Nusrat-Eleena: আগামী দিনে নুসরতের সন্তানকেও এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে তাঁর বাবা কে?

নুসরতের কাছে অর্থ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি সবই আছে। তাই সন্তান মানুষ তাঁর পক্ষে অনেক সহজ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২১ ১৭:৫৭
Share:

নুসরতের ‘একা মা’ হওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত চিত্রকর ইলিনা বণিক।

শহরে তারকা একা মায়ের তালিকায় নব্য সংযোজন নুসরত জাহান। এই খবরে উচ্ছ্বসিত চিত্রকর ইলিনা বণিক। যিনি শারীরিক সমস্যার কারণে ২০১২-য় আইভিএফ পদ্ধতিতে ‘একা মা’ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমে নুসরতকে আন্তরিক শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছেন, ‘‘যে নারী নিজের কৃতিত্বে সংসদ কক্ষের ভিতরে পা রাখতে পেরেছেন তিনি বাকি জীবনও অনায়াসে সব বাধা অতিক্রম করে যাবেন। শুধু তিনিই নন, তাঁর সন্তানও।’’

Advertisement


নিজের কথার স্বপক্ষে ইলিনা উদাহরণ দিয়েছেন অতীত কালের। তাঁর মতে, অতীতে বহু বিধবা খুব কষ্ট করে তাঁদের সন্তানদের মানুষ করেছেন। তাঁরা আজকের যুগের মেয়েদের মতো শিক্ষিত বা স্বাবলম্বী ছিলেন না। তাঁরা যদি পারেন তা হলে নুসরতও পারবেন। কারণ, নুসরতের কাছে অর্থ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি সবই আছে। একা হাতে সন্তান মানুষ করতে যা ভীষণ জরুরি। একই সঙ্গে তিনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাও অস্বীকার করেননি। তাঁর দাবি, ‘‘মেয়ে অমরাবতীর জন্মের আগে থেকে আমায় লড়াই চালাতে হয়েছে সমাজের বিরুদ্ধে। মানুষের বিরুদ্ধে। পারিপার্শ্বিক রীতিনীতি, পরিবেশের বিরুদ্ধে। তিনি জানেন, এখনও ‘একা মা’-কে চট করে কেউ বাড়ি ভাড়া দিতে চান না। সন্তানকে স্কুলে ভর্তির সময়েও অনেক অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু বিকল্প রাস্তাও খোলা থাকে। এই লড়াই নুসরতকেও চালাতে হবে।’’

সন্তানের জন্মের আগে সবাই নুসরতকে ব্যতিব্যস্ত করেছেন, ‘সন্তানের বাবা কে’ এই প্রশ্ন করে। আগামী দিনে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে নুসরতের সন্তানকেও। তখন কী হবে? চিত্রশিল্পীর কথায়, ‘‘এই প্রশ্নের উত্তর একা নুসরত বা তাঁর সন্তানকে দিতে হবে এমন নয়, এই প্রশ্ন নীনা-মাসাবা গুপ্তা, ইলিনা-অমরাবতী বণিককেও অহরহ দিতে হয়েছে, হচ্ছে। তবে একেবারে ছোট অবস্থায় শিশুরা এই ধরনের প্রশ্ন করার অবস্থায় থাকে না। বরং নতুন কিছু শেখার আনন্দেই তারা ডুবে থাকে। এখন কেউ অমরাবতীকে জিজ্ঞেস করলে সে কিন্তু সুন্দর এড়িয়ে যেতে পারে। আবার আমার উত্তর থাকে, কাজের জন্য ওর বাবা এই দেশেরই অন্য শহরে থাকেন।’’ ইলিনার দাবি, নুসরতকেও সময়ই সব শিখিয়ে দেবে।

Advertisement


ইলিনা এও জানিয়েছেন, যদি ভবিষ্যতে নুসরত বিয়ে করেন তা হলে নিজে থেকেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। একই সঙ্গে তাঁর পরামর্শ, অনেক কিছু দেখেও দেখতে নেই। শুনেও শুনতে নেই। সব কিছু গায়ে মাখতে নেই। নুসরত এই মন্ত্র মনে রাখলে তাঁকে হারানোর সাধ্য কার?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement