মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান
একে অপরকে ‘বোনুয়া’ বলে সম্বোধন করতেন তাঁরা। টলিপাড়া থেকে রাজনীতির ক্ষেত্র, দু’জনকে একসঙ্গেই দেখা যেত সব সময়ে। এই দুই সাংসদ-অভিনেত্রী হলেন মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান। বন্ধুত্বের নিদর্শন তৈরি করেছিলেন তাঁরা। মাঝে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে নানা কথাবার্তা শোনা গেলেও তাঁদের বন্ধুত্ব আদপে আগের মতোই রয়েছে। অটুট রয়েছে তাঁদের জুটি।
বৃহস্পতিবার পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন নুসরত। আনন্দ ধরে রাখতে পারলেন না মিমি। সামনাসামনি গিয়ে দেখা করার পরিস্থিতি এখন নেই। তাই নেটমাধ্যমেই আপাতত সেই কাজ সারতে হল ‘পুপে’-কে। টুইট করে লিখলেন, ‘শুভেচ্ছা নুসরত। ইচ্ছে করছে সামনে গিয়ে জড়িয়ে ধরি তোমায়। প্রচুর ভালবাসা এবং আলিঙ্গন পাঠালাম।’
গত ৬ অগস্ট আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে লাইভে এসে মিমি বলেছিলেন, ‘‘মা হবেন নুসরত জাহান। একটা মেয়ের জীবনের সবচেয়ে সেরা সময়। এখন ওর আনন্দের সময়। এই সময় আমি ওর পাশে থাকব না তো কে থাকবে?’’ অকপটে জানিয়েছেন, তাঁর আর নুসরতের সম্পর্ক এক দিনের নয়। তার পরেই তাঁর অনুযোগ, ‘‘যদি গাছ থেকে ফল পড়ে লোকে ভাবে মিমি-নুসরত বোধহয় ঝগড়া করছেন! বা কারও সঙ্গে কারও সম্পর্ক ভাঙল, সেখানেও জুড়ে দেওয়া হল আমাদের নাম।’’ মিমির দাবি, আর পাঁচ জনের মতো তাঁরাও ঝগড়া করেন। তার মানেই বন্ধুত্বে ছেদ, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন নুসরতের যত্ন রেখেছিলেন মিমি। নিয়মিত খবরাখবর রাখা থেকে শুরু করে রান্না করে খাবার পাঠানো, সব দিক থেকে নুসরতের পাশে দাঁড়িয়েছেন মিমি। ‘ক্রিসক্রস’ ছবির প্রচারে নুসরতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে মিমি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘আমরা মিডিয়ায় এই বন্ধুত্বের বেশি প্রচার চাই না। নজর লেগে যাবে। তবে আমরা আমাদের মতোই আছি।’’
মিমি এখন ওড়িশাতে রয়েছেন। অরিন্দম শীলের আগামী ছবি ‘খেলা যখন’-এর শ্যুটিং চলছে সেখানে। আশা করা যায়, কলকাতায় ফিরে নুসরতের সদ্যোজাতকে দেখতে যাবেন মিমি।