একেনবাবুর শুটিং ফ্লোরে অনির্বাণ চক্রবর্তীর সঙ্গে জয়দীপ। ছবি: সংগৃহীত।
একেনবাবু ওয়েব সিরিজ়ের চতুর্থ সিজ়ন আমি পরিচালনা করেছিলাম। সিরিজ়ের শুটিংয়ের আগে স্বত্ব বা অন্যান্য কথাবার্তা প্রযোজক সংস্থার সঙ্গেই হয়েছিল সুজনবাবুর। পরে সমাজমাধ্যমে তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ। ধীরে ধীরে আমাদের কথাবার্তা শুরু হয়। তার পর আমাকে বেশ কয়েক বার ফোনও করেছিলেন। সিরিজ় দেখে ওঁর পছন্দ হয়েছিল। ষষ্ঠ সিজ়ন সম্প্রচারের সময় উনি কলকাতায় ছিলেন। তখন একদিন আমরা সকলে একসঙ্গে ডিনার করেছিলাম। প্রচুর আড্ডা দিয়েছিলাম। খুবই ভাল মানুষ ছিলেন। সারাক্ষণ মজার মজার কথা বলতেন।
সুজনবাবু একেনবাবুর গল্পগুলো কিছুটা হলেও বড়দের কথা মাথায় রেখে লিখছিলেন। কিন্তু ওয়েব সিরিজ় এবং পরবর্তী সময়ে সিনেমা করার পর আমরা দেখলাম, বাচ্চারাও একেনবাবুকে পছন্দ করছে। সুজনবাবুও খুব খুশি হয়েছিলেন। আমাকে বলেছিলেন, আগামী দিনে যাতে গল্পগুলোকে ছোট-বড় সকলের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা যায় সেই চেষ্টা তিনি করবেন। আমাকে বলতেন, ‘‘তোমার হাতে একেন আসার পর নিশ্চিন্ত হয়েছি।’’ আজকে ওঁর এই কথাটা আরও বেশি করে মনে পড়ছে।
করোনার জন্য বিগত কয়েক বছর সুজনবাবু কলকাতায় আসতে পারেননি। কলকাতা বইমেলার জন্যই এ বারে অনেকটা সময় ছিলেন। ফেব্রুয়ারি মাসে আবার আমেরিকায় ফেরার পরিকল্পনা ছিল ওঁর। আগামী ২৪ জানুয়ারি ওঁর বাড়িতে আমি, পদ্ম (চিত্রনাট্যকার পদ্মনাভ দাশগুপ্ত) এবং অনির্বাণের (অনির্বাণ চক্রবর্তী) যাওয়ার কথা ছিল। সে দিন হঠাৎই ফোন করে বললেন, ‘‘তোমরা আমার বাড়িতে চলে এসো। একসঙ্গে লাঞ্চ করব।’’ আজকে তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই, ভাবতেই খারাপ লাগছে।