পানামা মামলায় কেন তলব ঐশ্বর্যাকে
পানামা নথি মামলায় এ বার ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিদেশে সম্পদ রাখার জন্যই ঐশ্বর্যাকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সোমবারই তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বিদেশি মুদ্রা আইন (ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট বা ফেমা)-এ তাঁকে তলব করা হয়েছে। এর আগেও তাঁকে দু’বার তাঁকে তলব করা হয়েছিল। তবে, তখনও তিনি হাজিরার জন্য সময় চেয়েছিলেন। এ বারও নাকি তিনি সময় চেয়েছেন।
পানামা নথি হল ১ কোটি ১৫ লক্ষ গোপন নথি, যা ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ফাঁস হয়েছিল। বিভিন্ন দেশের অনেক মানুষ বিদেশে কত পরিমাণ সম্পত্তি গচ্ছিত রেখেছেন, তা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল সে সময়। নথিগুলির কিছু ১৯৭০ এর দশকের। পানামার একটি ল ফার্ম এবং কর্পোরেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা মোসাক ফনসেকা এই নথি তৈরি করেছিল। মূলত কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই বিদেশে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
পানামা নথিতে নাম থাকায় আদালতের নির্দেশে পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে নওয়াজ শরিফকে। অমিতাভ বচ্চন-সহ বেশ কিছু বিশিষ্ট ভারতীয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
পানামা নথির দ্বিতীয় দফার তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্র জানিয়েছিল, বিষয়টির ওপর তারা নজর রাখছে। সরকারের তরফে খবর, প্রথম পর্যায়ের পানামা নথির তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা ৭৪টি মামলা করে তদন্ত শুরু করে। এর মধ্যে ৬২টির ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া গিয়েছে। ফলে সরকার ১১৪০ কোটি টাকার অঘোষিত সম্পত্তি চিহ্নিত করতে পেরেছে। এর পর এই মামলা সম্পর্কে খবর তেমন ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। ঐশ্বর্যাকে তলব করার মধ্যে দিয়ে ফের তা প্রকাশ্যে এল।